অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে নতুন তিন উপদেষ্টার নিয়োগ নিয়ে গত কয়েক দিনে ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্ক দেখা গেছে। এই বিতর্কে সরকারের সমালোচনায় সরব ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ।
সরকারের সমালোচনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান এই দুই নেতার সরব উপস্থিতির কারণে অনেকের মনেই বিভিন্ন প্রশ্ন উঁকি দিয়েছিল। জনমনে দেখা দেওয়া প্রশ্নের মধ্যেই উপদেষ্টা ও নিজের সহযোদ্ধা নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদসহ অন্য সমম্বয়কদের ভেতরকার সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম।
জুলাই অভ্যুত্থানে উপদেষ্টা ও সমন্বয়কদের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে তিনি বলেছেন, সহযোদ্ধাদের মধ্যে মান-অভিমান থাকতে পারে। তবে ন্যায়ের পক্ষে রাজপথের লড়াই-সংগ্রাম মিনিটের মধ্যে আবার আমাদের ঐক্যকে শক্তিশালী করবে।
সারজিস আলম তার ভেরিভায়েড ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, নাহিদ আসিফরা জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই রাজপথে নেমেছিল ৷ DGFI, DB’র পাশবিক অত্যাচার, কোনো কিছুই এদের টলাতে পারেনি ৷ হাসনাতরা আরো ৩ মাস আগেই বলেছিলো ‘we are open to be killed’.
তিনি লিখেছেন, মাহিন সরকার, আবু বাকের মজুমদার, রিফাত রশিদ, হান্নান মাসুদদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই ৷ শেখ হাসিনার পুরো রেজিমের ভয় এদেরকে লক্ষ্য থেকে সরাতে পারেনি৷
উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্লোগান বিষয়টি খোলাসা করে তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্লোগান ওদের পূর্ববর্তী করাপ্টেড সিস্টেম নিয়ে ছিল সেটা বুঝেছি ৷
নিজেদের ভেতরের সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, সহযোদ্ধাদের মধ্যে মান-অভিমান থাকতে পারে সেটা নিয়েও সমস্যা নেই ৷ ন্যায়ের পক্ষে রাজপথের লড়াই সংগ্রাম মিনিটের মধ্যে আবার আমাদের ঐক্যকে শক্তিশালী করবে এটা আমরা বিশ্বাস করি ৷ যখনই সংকট এসেছে আমার এই সহযোদ্ধারাই কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ছুটে এসেছে ৷
এজেন্ট হিসেবে কেউ এ বিষয়গুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করলে সফল হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, কিন্তু এজেন্ট হিসেবে ভেতরে ঢুকে এদের কাউকে প্রশ্নবিদ্ধ করার নোংরা প্রচেষ্টা যদি করা হয়, তবে সেটা কখনো সফল হবে না ৷ এই বন্ধন এমনি এমনি তৈরি হয়নি ৷ হাতে হাত রেখে রাজপথে ঘাম ঝরিয়ে, রক্ত ঝরিয়ে, জীবনের মায়া ত্যাগ করে একসাথে লড়াই করে এই বন্ধন তৈরি হয়েছে ৷ সাবধান!