বাফুফের নতুন কমিটির প্রথম সভা হয়েছে আজ (শনিবার)। রেকর্ড সংখ্যক ২৮টি এজেন্ডা থাকলেও সভা খুব বেশি দীর্ঘায়িত হয়নি। সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হওয়া সভার ব্রিফিং হয়েছে দুপুর আড়াইটার দিকে। যেখানে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলকে দেড় কোটি টাকা পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
বাফুফের সদস্য আমিরুল ইসলাম বাবু সভা শেষে ব্রিফিং করেছেন। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাফ চ্যাম্পিয়ন নারী দলকে বাফুফের পক্ষ থেকে দেড় কোটি টাকা প্রদান করা হবে। আমরা খুব শিগগিরই এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আপনাদের সামনে এটি প্রদান করব।’ শুধু খেলোয়াড় নয়, দলের সঙ্গে থাকা সবাই এই পুরস্কারের আওতায় আছেন বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন বাবু, ‘যারা এই দলের সঙ্গে ছিল, প্রতিটি সদস্য এই বাফুফের এই পুরস্কার পাবে।’
বাফুফের আর্থিক সংকট অনেক। মেয়েদের বেতনই মাঝে-মধ্যে বকেয়া পড়ে যায়। সেখানে বাফুফের পক্ষ থেকে দেড় কোটি টাকা পুরস্কার প্রদান বেশ কষ্টসাধ্যই। এই প্রসঙ্গে বাবু বলেন, ‘আমরা দেড় কোটি টাকা শিগগিরই সংগ্রহ করব। সংগ্রহ হওয়া মাত্রই আমরা সেটা নারী ফুটবল দলকে প্রদান করব।’ বাফুফের তহবিল সংকট থাকলেও ফেডারেশনের কর্মকর্তারা অবশ্য বিত্তশালী। বাফুফের নির্বাচিত ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমেই মূলত সাবিনাদের বোনাসের অর্থ প্রদান করা হবে।
এর আগে ২০২২ সালেও সাবিনারা সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। সেই সময় বাফুফের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা বা পুরস্কার ছিল না। তৎকালীন সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক ৫০ লাখ টাকা করে পুরস্কার দিয়েছিলেন সাফজয়ীদের।
এবার সাবিনারা পুনরায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সবার আগে ২০ লাখ টাকা আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করে। এরপর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও এক কোটি টাকা প্রদানের ঘোষণা দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। কাঠমান্ডু থেকে ট্রফি নিয়ে দেশে ফেরার দুই দিনের মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন চ্যাম্পিয়নরা।