যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র ঠিকানার অনলাইন টকশোতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে অতিথি করে যে টকশো করার কথা ছিল তা স্থগিত করা হয়েছে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে টকশোটি স্থগিত করেন ঠিকানার প্রধান সম্পাদক আলোচিত সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন।
ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এখন নিষিদ্ধ সংগঠন। একাধিক আইনজীবীর পরামর্শ মতে, বাংলাদেশের দিক থেকে ছাত্রলীগের কারও বক্তব্য প্রচার আইনত ঠিক হবে না। এই বিবেচনায় নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ সভাপতির অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হলো।’
এর আগে আগামী ৭ নভেম্বর নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে নিয়ে টকশো করার কথা ছিল খালেদ মুহিউদ্দীনের। এ খবর ছড়িয়ে পরার পর থেকেই শুরু হয় নানা সমালোচনা। নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়তে হয় খালেদ মুহিউদ্দীনকে।
বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করে বিরুপ প্রতিক্রিয়া জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম।
বুধবার (৬ নভেম্বর) নিজেদের ফেসবুক আইডিতে পৃথক পোস্টে এবিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম।
হাসনাত আব্দুল্লাহ ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠনের সভাপতিকে প্রমোট করার মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের শহীদ ও জাতীয় বিপ্লব ও সংহতির সঙ্গে প্রতারণা করা হলো।’
সারজিস আলম লেখেন, ‘খালেদ মহিউদ্দীন ভাই, এর পূর্বে কয়টা নিষিদ্ধ সংগঠনের লিডারদের সঙ্গে টকশো করেছেন? এটা আমাদের ২ হাজারের অধিক শহিদের সঙ্গে বেইমানি, অর্ধ-লক্ষ রক্তাক্ত ভাইবোনের রক্তের সাথে বেইমানি।’