1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:০২ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
‘গণঅভ্যুত্থানে আহতদের আমৃত্যু চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে’ বরিশাল থেকে ধরে আনা কর্মকর্তাকে ঢাকার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ হাজী সেলিমের ছেলে সাবেক এমপি সোলাইমান গ্রেপ্তার আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন: ড. ইউনূস আইন করে কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি দেয়া অবৈধ ছিল : হাইকোর্টের রায় শেয়ারবাজারে কারসাজিতে সাকিবের আয় ৯০ লাখ, জরিমানা হয়েছে ৫০ লাখ বিদ্যুৎ নিয়ে আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে ভারত: মির্জা ফখরুল নাহিদ-আসিফরা জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই নেমেছিল: সারজিস বাংলাদেশিদের ফুল-ফান্ডেড স্কলারশিপ দেবে আল-আজহার

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি আদানি পাওয়ারের

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভারতের আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড লিমিটেড। এ জন্য আলটিমেটামও দিয়েছে তারা। বলেছে, আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া বিল পাওয়ার নিশ্চয়তার দফরফা না হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার রোববারের (৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে এনেছে ভারতের আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড লিমিটেড। সময়মতো বকেয়া বিল না পেয়ে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় রণধীর জয়সওয়ালের কাছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও আদানি পাওয়ার লিমিটেডের মধ্যকার ইস্যুতে ভারত সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। এটি একটি বেসরকারি সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যকার চুক্তি। তাই এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।

পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে আদানি প্ল্যান্ট অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। ১ হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বর্তমানে একটি ইউনিট থেকে প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে, যা জাতীয় উৎপাদনকে প্রভাবিত করেছে। এর আগে তারা বিদ্যুৎ সচিবকে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি) ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বকেয়া বিল পরিশোধ করতে বলেছিল।

বর্তমানে আদানি পাওয়রের কাছে বাংলাদেশ প্রায় ৮৫০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া রেখেছে। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে এই পাওনা পরিশোধ এবং ভবিষ্যতের সরবরাহকৃত বিদ্যুতের অর্থপ্রাপ্তির নিশ্চয়তা হিসেবে ১৭০ মিলিয়ন ডলারের একটি লেটার অফ ক্রেডিট (এলসি) জমা দেওয়ার শর্ত দেয়।

এ পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি খোলার উদ্যোগ নেয়। কিন্ত তা চুক্তিমতো হয়নি বলে দাবি করা হয়।

এর আগে ১১ অক্টোবর রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘আদানি পাওয়ার’সহ আরও কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত বিদ্যুৎ সংস্থার কাছে বাংলাদেশের মোট বকেয়ার পরিমাণ ১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এই অর্থের কিছুটা এখনই পরিশোধ না করা গেলে দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে এমন উদ্বেগকে পাশে রেখে আদানি পাওয়ারের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তি রাখতে পারে বাংলাদেশ।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আদানি পাওয়ারের সঙ্গে করা চুক্তিগুলো কতটুকু যৌক্তিক এবং জাতির স্বার্থের কথা কতটুকু চিন্তা করেছে, তা খতিয়ে দেখতে একটি প্যানেল নিয়োগ দিয়েছে ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। বিশেষ করে দ্রুত আইনের অধীনে যে প্রকল্পগুলো শুরু করা হয়েছিল, সেগুলোর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই প্রকল্পগুলোও খতিয়ে দেখা হবে বলে রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়।

সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় অবস্থিত তাদের যে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানি করে থাকে

বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের এক কর্মকর্তা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সর্বশেষ অডিট রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, আদানি পাওয়ারের বাংলাদেশে প্রতি ইউনিট প্রায় ১২ টাকা খরচ হয়, যা ভারতের অন্যান্য বেসরকারি উৎপাদকদের তুলনায় ২৭ শতাংশ বেশি এবং ভারতীয় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্ল্যান্টের তুলনায় ৬৩ শতাংশ বেশি।

বিগত চুক্তির অধীনে, বাংলাদেশ ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে আদানি এবং অন্যান্য ভারতীয় প্ল্যান্ট থেকে প্রায় ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।

এদিকে ভারতের একজন মুখপাত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশ চুক্তিটি পর্যালোচনা করলেও এ বিষয়ে আদানির কোনো ইঙ্গিত নেই। তিনি বলেন, ‘বকেয়া বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও আমরা বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালিয়ে যাচ্ছি, যা উদ্বেগের বিষয়।’

আদানি গ্রুপের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, বকেয়া পরিশোধ না করাসহ এখানে স্পষ্ট বার্তার অভাব রয়েছে। এ কারণে গ্রুপটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩