বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য শিগগিরই বিদেশে নেওয়া হবে। তাঁকে প্রথমে নেওয়া হবে যুক্তরাজ্যে। বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও জানানো হয়েছে।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র আরও জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে লন্ডনে কয়েকটি হাসপাতালের সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘লন্ডনে তীব্র শীত পড়ার আগেই আমরা বেগম জিয়াকে সেখানে নিতে চাই। এ জন্য বিশেষায়িত এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দরকার। সেই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করার চেষ্টা চলছে।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৬ আগস্ট খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে মুক্তি দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তখন দুই বছরের বেশি সময় তিনি কারাবন্দী ছিলেন।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়। এরপর ছয় মাস পরপর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছিল সরকার।
অসুস্থ খালেদা জিয়াকে বহুবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। দিনের পর দিন তাঁকে হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে। আওয়ামী সরকার তাঁকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। পরে দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তাঁর অস্ত্রোপচার দেশেই করা হয়।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত ১৬ আগস্ট বলেছিলেন, ‘ম্যাডামকে অতি শিগগির আমরা বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
খালেদা জিয়ার নানা ধরনের শারীরিক জটিলতা রয়েছে। তাঁকে যে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বিদেশে নেওয়া হবে, সেখানে সব ধরনের চিকিৎসা সহায়তার ব্যবস্থা থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার চিকিৎসকেরা।
এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, তাঁর বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকতার অংশ হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।