রাষ্ট্র ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর থেকে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) অনেক কর্মকর্তা আত্মগোপনে আছেন। মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা বিওএ ভবনে অতীতের মত সপ্তাহে ২-৩ দিন আসছেন বটে, সংস্থাটির কার্যক্রমে খুব একটা প্রাণ নেই। এ অবস্থায় সভাপতির দায়িত্ব ছেড়েছেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল শেখ মোহাম্মদ শফিউদ্দিন আহমেদ।
সাবেক সেনা প্রধানের দায়িত্ব ছাড়াটা অবশ্য চলমান প্রক্রিয়া। সাধারণত সেনাবাহিনীর প্রধান নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিওএ সভাপতির দায়িত্ব পালন করে থাকেন। সেনা প্রধানের পদ থেকে অবসরে যাওয়ার পর বিওএ সভাপতির পদও ছাড়তে দেখা যায়। সে ধারাবাহিকতা রক্ষা করলেন এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
সদ্য শূণ্য হওয়া সভাপতি পদের পাশপাশি ক্রীড়াঙ্গণের গুরুত্বপূর্ণ এ সংস্থার বেশকিছু পদও কার্যত শূণ্য হয়ে আছে। বিওএ নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি হিসেবে আছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুই সংসদ সদস্যকাজী নাবিল আহমেদ এবং মাহবুব আরা বেগম গিনি।
দুজনই বর্তমানে বিওএ কার্যক্রম থেকে দূরে আছেন। উপ-মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ অপু আওয়ামী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর সহোদর; সরকার পতনের পর থেকে তাকেও ক্রীড়াঙ্গনে দেখা যাচ্ছে না। নির্বাহী কমিটির সদস্য এড. আব্দুর রকিব মন্টু, মাজহারুল ইসলাম তুহিন, আব্দুল গাফফার, মহিউদ্দিন আহমেদ, মোল্লা বদরুল সাইফ বিগত সরকারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
তাদেরও ক্রীড়াঙ্গণে দেখা যাচ্ছে না। নির্বাহী কমিটির আরেক সদস্য হাবিবুর রহমানকে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক এ কমিশনারও ক্রীড়াঙ্গণে অনুপস্থিত।
রাষ্ট্র ক্ষমতায় পালাবদলের পর ক্রীড়াঙ্গণে স্থবিরতা নেমে এসেছে। স্থবিরতা বিরাজ করছে বিওএ’র অভ্যন্তরেও। সংস্থাটির একটি সূত্র জানিয়েছে, হাতে গোনা কিছু কর্মকর্তা মাঝেমধ্যে আসছেন বটে। বিওএ অভ্যন্তরে অতীতের প্রাণচাঞ্চল্য নেই।