ঘূর্ণিঝড়ে বসত ঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে বোরহানউদ্দিনের বিধবা রহিমা বেগম। গত তিন মাস আগে ক্যান্সারে আক্রান্ত স্বামী জামালকে হারানোর শোক না কাটতেই গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে ঘরের উপর সরকারি গাছ পড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় তার পুরো ঘরটি।
এসময় ঘরের নিচে চাপা পড়লে স্থানীদের সহায়তায় কোনো রকম প্রাণে বাঁচে সে। উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের চর গঙ্গাপুর গ্রামের তেতুলিয়া নদীর বেড়িবাঁধে এমন ঘটনা ঘটে।
রহিমা বেগম জানান, তার স্বামী জামাল প্রায় ৪ বছর ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিল এবং গত ৩ মাস আগে সে মারা যায়। নিজেদের কোনো জায়গা সম্পত্তি না থাকায় বেড়িবাঁধের উপর সরকারি খাস জমিতে বসবাস করে আছিলো। কিন্তু গত শুক্রবার রাতে হঠাৎ করে ঝড় শুরু হয়। এসময় বেড়িবাঁধে লাগানো বিশাল আকৃতির একটি চাম্বুল গাছ তার ঘরের উপর আচড়ে পড়ে। তখন সে ও ঘরের মধ্যে আটকা পড়ে। তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা এসে তাকে উদ্ধার করে। পরিবাররে উপার্যনক্ষম কেউ না থাকায় তার পক্ষে ঘর মেরামত করা সম্ভব নয়। অসহায় রহিমা বেগমের ঘরটি মেরামতে সহযোগীতা করার দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সাচড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মহিউদ্দিন মোল্লা জানান, সাচড়া ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ে অনেক ঘর বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গাছ পালা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রায়হান উজ্জামান জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে তাদেরকে সহযোগীতা করা হবে।