বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী ভোলা জেলার আয়োজনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে শহীদ ৪৬ পরিবারের মধ্যে নগদ ২ লক্ষ টাকা করে অনুদান বিতরণ ও তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও নির্বাহী পরিষদ সদস্য বরিশাল অঞ্চল পরিচালক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসাইন হেলাল প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে চোরের মত পালাতে হয়েছে শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনাকে। নির্বিচারে গুলি করে টিকে থাকতে চেয়েছিলেন তিনি। ৫ আগস্ট এর ছাত্র জনতার বিপ্লবকে ব্যর্থ করার চেষ্টাও করেছেন। এখন আবার ভারতে বসে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। শেখ হাসিনা চেয়েছিল ২০৪১ সাল পর্যন্ত টিকে থাকবে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সকল কর্মসূচি তারা পালন করেছে। তৈরি করেছে জেল খানার বিশেষ সেল, আয়নাঘর। খালি করেছে শত শত মায়ের বুক। মৃত্যুর সংবাদও পৌঁছে নাই তার পরিবারের কাছে। জানতে পারে নাই তার স্বামী বেঁচে আছে কিনা। আট বছর পরে জানতে পারলো তার স্বামী বেঁচে আছে। ছাত্ররা তাদের অধিকার চেয়েছিল তার পরিবর্তে পেয়েছে রাজাকার উপাধি। পেয়েছে বুকে গুলি। আবু সাঈদ চেয়েছিল তার অধিকার, মুগ্ধ পানির বিতরণ করেছিল তার পরিবর্তে পেয়েছে শেখ হাসিনার গুলি। শেখ হাসিনার পরিণতি এরকম হবে ভাবতেও পারে নাই। আল্লাহ তায়ালার কাছে তাদের পাপের বোঝা এত বেশি হয়েছে যে, যা আর আল্লাহর কাছে সহ্য হয় নাই। বৈষম্য বিরোধী সমাজ গড়তে হলে মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর মত বৈষম্য বিরোধী হতে হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সেই বৈষম্য বিরোধী কাজটি করে যাচ্ছে। বৈষম্য বিরোধী কাজ প্রতিষ্ঠিত করতে হলে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই। এজন্য আমাদেরকে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ভোলা জেলা আমীর মাস্টার জাকির হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জেলা নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা হারুনুর রশিদ, জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারী জিয়াউল মোর্শেদ চৌধুরী, চরফ্যাশন উপজেলা আমীর অধ্যক্ষ মীর শরীফ হুসাইন, ভোলা সদর উপজেলা আমীর মাওলানা কামাল হোসেন, জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য আমীর হোসেন, দৌলতখান উপজেলা আমীর হাসান তারেক স্বপন হাওলাদার, জেলা সুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা জাকির হোসেন, ভোলা সদর উপজেলা সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল গাফফার, ভোলা পৌরসভা সেক্রেটারী রুহুল আমিন , ভোলা পৌরসভার সূরা কর্ম পরিষদ সদস্য আতাউর রহমান কামাল। অনুষ্ঠানে ভোলা জেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ৪৬ পরিবারকে ২ লাখ টাকা করে নগদ আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে ভোলা সদর উপজেলার হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।