1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
‘গণঅভ্যুত্থানে আহতদের আমৃত্যু চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে’ বরিশাল থেকে ধরে আনা কর্মকর্তাকে ঢাকার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ হাজী সেলিমের ছেলে সাবেক এমপি সোলাইমান গ্রেপ্তার আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন: ড. ইউনূস আইন করে কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি দেয়া অবৈধ ছিল : হাইকোর্টের রায় শেয়ারবাজারে কারসাজিতে সাকিবের আয় ৯০ লাখ, জরিমানা হয়েছে ৫০ লাখ বিদ্যুৎ নিয়ে আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে ভারত: মির্জা ফখরুল নাহিদ-আসিফরা জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই নেমেছিল: সারজিস বাংলাদেশিদের ফুল-ফান্ডেড স্কলারশিপ দেবে আল-আজহার

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম একনেক সভা আজ

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

হাসিনা সরকারের পতনের পর আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) প্রথম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভা (একনেক) অনুষ্ঠিত হবে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সভার আয়োজন করা হবে।

ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম সভা এটি। এর আগে সর্বশেষ একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল চলতি বছরের ২ জুলাই। প্রথম সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে ছয়টি প্রকল্প। তবে অনুমোদন পেতে পারে পাঁচটি।

পরিকল্পনা কমিশনের একনেক উইং সূত্রে জানা গেছে, একনেক বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সভা শেষে পরিকল্পনা কমিশনে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। রীতি অনুযায়ী সবসময় একনেক সভা পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে হলেও এবার স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। এবার প্রথমবারের মতো তেজগাঁওয়ের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে হবে এই সভা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, একনেকের কার্যতালিকায় ছয়টি প্রকল্প থাকলেও অনুমোদনের জন্য পাঁচটি উত্থাপন করা হবে। প্রকল্পগুলোর মোট ব্যয় দাঁড়াবে ৩ হাজার ৪৫৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা। এগুলোর মধ্যে তিনটি সংশোধিত এবং দুটি নতুন।

বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার এক মাস পেরোলেও এখন পর্যন্ত কোনো একনেক সভা হয়নি। এ ছাড়া পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব সত্যজিত কর্মকারের বিদায়ের পর আর কোনো সচিব না আসায় কর্মকর্তারাও দ্বিধান্বিত। এমন অবস্থায় একনেক সভায় কোন কোন প্রকল্প তোলা হবে, সেটা নিয়েও ছিল সিদ্ধান্তহীনতা।

পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সভায় প্রস্তাবিত এবং চলমান প্রকল্প নিয়ে বিশেষ নির্দেশনা আসতে পারে। নতুন প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রেও থাকতে পারে কিছু নির্দেশনা। কী ধরনের প্রকল্প গুরুত্ব পাবে—এমন প্রশ্নে তারা জানান, সরকারের কাছে গুরুত্ব পেতে পারে জনবান্ধব প্রকল্প।

একনেকে অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হবে পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের ‘বাখরাবাদ-মেঘনাঘাট-হরিপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্প (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প। বাস্তবায়ন করবে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)। সংশোধিত প্রকল্পটির ব্যয় ৭০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ১ হাজার ৫৭০ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।

কার্যতালিকায় থাকা দ্বিতীয় প্রকল্প ‘দুটি মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ (সুন্দলপুর-৪ ও শ্রীকাইল-৫) এবং দুটি অনুসন্ধান কূপ (সুন্দলপুর সাউথ-১ ও জামালপুর-১) খনন প্রকল্প’। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি (বাপেক্স)। নতুন এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।

তৃতীয় প্রকল্প, আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের ‘মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) দ্বিতীয় সংশোধিত তথ্য আপা নামক প্রকল্প। ব্যয় ১৬৩ কোটি ১০ লাখ টাকা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৭৪৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। বাস্তবায়ন করছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড। নতুন এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা। প্রকল্পটিতে ইউনিসেফের অনুদান ১০০ কোটি ১৬ লাখ টাকা, বাকি ২৯৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা সরকার দেবে। কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের ‘লাঙ্গলবন্ধ মহাষ্টমী পুণ্যস্নান উৎসবের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (প্রথম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পটি ১৪৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকায় বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।

রয়েছে আরও একটি প্রকল্প। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের পাঁচ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকার ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা জাতীয় মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ‘ভূমি অধিগ্রহণ’ শীর্ষক সংশোধনী প্রকল্প। তবে এটি বাদ যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে গত ১৪ আগস্ট পরিকল্পনা কমিশনের এক সভা শেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেছিলেন, জিডিপির চেয়ে এখন জরুরি কর্মসংস্থান বাড়ানো। প্রকল্প যাচাই-বাছাই করাও প্রয়োজন। কারণ, এখানে অনেক বিশৃঙ্খলা রয়েছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নেওয়া প্রকল্পগুলো আবার পর্যালোচনা করে ছাঁটাই করা হবে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ২ জুলাই হাসিনা সরকারের শেষ একনেক সভায় ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে সব রেকর্ড ছাড়িয়ে দেশের উন্নয়নে গত ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সভায় ৪৪ প্রকল্প অনুমোদন পায়। পরের প্রায় সব একনেক সভায় কমপক্ষে ১০টি প্রকল্প পাস হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩