ঢাকার আশুলিয়ায় গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতাকে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর অভিযোগে আটক ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সুপার নিউমারারি পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) আবদুল্লাহিল কাফীকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। সেখানে পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) তার পালিয়ে যাওয়ার খবর পায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। দিনভর চেষ্টার পর রাত ১০টার দিকে তাকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে আটক করা হয়।
পরবর্তীতে তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সেখানে আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় কাফীর সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। বলা হয়েছে, গুলি করে হত্যার পর ভ্যানগাড়িতে উঠিয়ে এরপর লাশ পুড়িয়ে ফেলাসহ সব বিষয়ে কাফীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। লাশ পুড়িয়ে ফেলতে তাকে কেউ নির্দেশনা দিয়েছিলেন নাকি তিনি নিজেই নির্দেশনা দিয়েছিলেন, সে বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এই বিষয়ে ডিবির এক কর্মকর্তা জানান, আব্দুল্লাহিল কাফী একজন পুলিশ কর্মকর্তা। তার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিতে গেলে কিছু প্রসেস রয়েছে। আশুলিয়ায় ৫ আগস্টের ঘটনার সঙ্গে তার কতটুকু সম্পৃক্ততা রয়েছে, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হচ্ছে। এরপর তার বিষয়ে কী করণীয় তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ আগস্ট থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হতে থাকে। যা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠে ভিডিওটি কবের? কোথাকার? পরর্তীতে জানা যায়, এটি ৫ আগস্ট ঢাকার আশুলিয়া থানা এলাকার।
স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়া যাওয়ার পরই আশুলিয়ায় ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় ভিডিওটি ধারণ করা হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন পুলিশ সদস্য কয়েকটি মরদেহ একটি ভ্যানে তুলে সেগুলো ব্যানার দিয়ে ঢাকছেন।
ভিডিওতে আরও দেখা মিলে, দুই পুলিশ কর্মকর্তা মরদেহ স্তূপ করে রাখছেন। স্থানীয় পুলিশ ও বাসিন্দারা তাদের একজনকে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক হিসেবে শনাক্ত করেন।
পুলিশ সূত্র ও গুগলের জিওলোকেশন উপাত্ত এবং আশপাশের ছবি বিশ্লেষণ করার পর ভিডিওটির তারিখ ও অবস্থান নিশ্চিত করেছে। এএফপির বাংলাদেশ ব্যুরোর ফ্যাক্ট-চেকিং প্রধান কদর উদ্দিন শিশির এই বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানান, বাইপাইল কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কাছে থানার সামনের একটি গলিতে এ ঘটনা ঘটে।
সাধারণ পোশাক ও পুলিশের হেলমেট-বুলেটপ্রুফ ভেস্ট পরা অন্য পুলিশ সদস্যরা বেশিরভাগই একই শাখার পুলিশ।