আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও দলটির নিবন্ধন বাতিল চেয়ে করা রিটটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ আদেশ দেন।
‘সারডা সোসাইটি’ নামে একটি সংগঠনের পক্ষে এর নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া গত ১৯ আগস্ট রিটটি করেছিলেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান শুনানি করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রেদওয়ান আহমেদ রানজিব।
গত ২৭ আগস্ট আদালত রিটের ওপর শুনানি নেন। পরবর্তী শুনানির জন্য ১ সেপ্টেম্বর তারিখ রাখেন আদালত।
শুনানিতে রিট আবেদনকারী বলেন, আওয়ামী লীগকে পক্ষ না করা ভুল হয়েছে। রিটটি ‘নট প্রেস’ করে নেওয়ার কথা জানান তিনি।
শুনানি নিয়ে একপর্যায়ে আদালত বলেন, রিটটি গ্রহণযোগ্য নয়। রিটটি সরাসরি খারিজ করা হলো।
এর আগে গত ২৭ আগস্টের শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, দেশের সংবিধান মানুষের রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার এখতিয়ার দেয়নি। বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার মানুষের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করা।
রিটটি গ্রহণযোগ্য নয় এবং ভ্রান্ত ধারণাপ্রসূত উল্লেখ করে অ্যাটর্নি জেনারেল সেদিনের শুনানিতে বলেন, একটি গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কর্তৃত্ববাদের অবসানের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব পালন করছে। এই সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতি করতে চাইবে—কেউ এটি প্রত্যাশা করলে তা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, এই সরকার মনে করে, মানুষের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক দল অন্যতম প্ল্যাটফর্ম।
অ্যাটর্নি জেনারেল শুনানিতে আরও বলেছিলেন, একটি সংগঠনকে বন্ধ করে দিয়ে, হাজার হাজার, লাখ লাখ সমর্থক, আদর্শে যাঁরা বিশ্বাস করেন, তাঁদের রাজনৈতিক অধিকার ক্ষুণ্ন করার বিরুদ্ধে এই সরকার। এ ধরনের রিট যদি গ্রহণ করা হয়, তা সংবিধানের মৌলিক চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক ও দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক চেতনার পরিপন্থী হবে।