1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
‘গণঅভ্যুত্থানে আহতদের আমৃত্যু চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে’ বরিশাল থেকে ধরে আনা কর্মকর্তাকে ঢাকার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ হাজী সেলিমের ছেলে সাবেক এমপি সোলাইমান গ্রেপ্তার আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন: ড. ইউনূস আইন করে কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি দেয়া অবৈধ ছিল : হাইকোর্টের রায় শেয়ারবাজারে কারসাজিতে সাকিবের আয় ৯০ লাখ, জরিমানা হয়েছে ৫০ লাখ বিদ্যুৎ নিয়ে আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে ভারত: মির্জা ফখরুল নাহিদ-আসিফরা জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই নেমেছিল: সারজিস বাংলাদেশিদের ফুল-ফান্ডেড স্কলারশিপ দেবে আল-আজহার

‘মাইরা তো ফেলছি এখন কী করবা’ দম্ভ দেখানো সেই ওসির বিরুদ্ধে গুমের মামলা

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করার অভিযোগ রয়েছে পল্লবী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসানের বিরুদ্ধে। সে সময় নিহত ছাত্রদের বিষয়ে দম্ভ দেখিয়ে ‘মাইরা তো ফেলছি, এখন কী করবা’ এমন একটি কথার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এতে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এবার সেই ওসি অপূর্বের বিরুদ্ধে যশোরে অপহরণ ও গুমের মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে আরও দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে।

২০১৬ সালে যশোরের বেনাপোলে রেজোয়ান নামে এক কলেজ ছাত্র অপহরণ ও গুমের শিকার হন। আট বছর পর তার ভাই রিপন হোসেন বাদী হয়ে যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন। ঘটনার সময় অপূর্ব হাসান বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। মামলার বাকি দুই আসামি একই থানার তদন্ত কর্মকর্তা খন্দকার শামীম আহমেদ ও উপপরিদর্শক (এসআই) নূর আলম।

বাদীর আইনজীবী আলমগীর সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জাকিয়া সুলতানা অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণের জন্য বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্তকে আদেশ দিয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, গুম হওয়া রেজোয়ান বেনাপোল মহিষাডাঙ্গা গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে। সে বাগআঁচড়া কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে বেনাপোল ভূমি কার্যালয়ের পাশে রেজাউলের দোকানে চা পান করছিল রেজোয়ান। এসময় বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই নূর আলম ও অপর একজন মোটরসাইকেল নিয়ে সেখানে গিয়ে রেজোয়ানের নাম জানতে চায়। নাম বলার পর ‘তোকেই খুঁজছি’ বলে রেজোয়ানকে তাদের মোটরসাইকেলে উঠতে বলে। এরপর তাকে নিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন থানায় গেলে ওসি অপূর্ব হাসান তাদের বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করে, সেই সঙ্গে সবাইকে গুম করার হুমকি দেয়।

পরবর্তীতে ৭ আগস্ট রেজোয়ান নিখোঁজ উল্লেখ করে জিডি করতে গেলে লেখা সঠিক হয়নি বলে ওসি (তদন্ত) খন্দকার শামীম আহমেদ কাগজ ফেরত দেন। এরপর নিজের মন মতো একটা জিডি লিখে তা লিপিবদ্ধ করে। ওই ঘটনার পর থেকে রেজোয়ানকে অদ্যবধি পাওয়া যায়নি। রেজোয়ানের পরিবারের ধারণা পুলিশ আটকের পর তাকে হত্যা করে মরদেহ গুম করেছে।

পরিবেশ অনুকূলে না থাকায় ওইসময় মামলা করতে পারেনি পরিবার। বর্তমানে পরিবেশ অনুকূলে আসায় রেজোয়ানের ভাই রিপন হোসেন ন্যায়বিচার পেতে এ মামলা করেছেন বলে জানান আইনজীবী আলমগীর সিদ্দিকী।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ বা ১৮ জুলাই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দেখা যায় মিরপুর ১২ নম্বর সেকশন এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় অন্য শিক্ষার্থীকে হত্যার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মাইরা তো আমরা ফেলছি এখন কী করবা?’

এ সময় উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের ধমক দিয়ে বলেন, ‘যে গুলি করবে না তাকে আমি গুলি করবো।’ এরপরই শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায় পুলিশ। হতাহত হয় অনেকেই।

ওসি অপূর্ব হাসানের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলায়। ২০১৩-২০১৮ সাল পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর থানায় দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩