‘প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ড. ইউনূসের মামলা তুলে নেয়া হয়েছে এটা উনি চাননা। উনি আইনসম্মত ভাবেই এটা করতে চান।’ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দুর্নীতি মামলা তুলে নেয়া আইনসম্মত ছিল কিনা এ বিষয়ে আপিল বিভাগের শুনানিতে এ কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বিভাগে এর প্রাথমিক শুনানি হয়।
আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক।
এ সময় দুদক আইনজীবী ফজলুল হক বলেন, আইন অনুযায়ী মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করা হয়নি। এ সময় বিস্ময় প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, এটা কি তবে জুডিশিয়াল অ্যানার্কি। এর আগে হাইকোর্ট ২৪ জুলাই ড. ইউনূসের দুর্নীতি মামলা চলবে বলে যে আদেশ দিয়েছিলো সেই আদেশের কপি চান। কিন্তু সেটি দিতে না পারায় সোমবার ফের শুনানির দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
গত ১১ আগস্ট গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলা থেকে খালাস পান নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওইদিন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ৭ আগস্ট শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা থেকে ড. ইউনূসকে খালাস দেন আদালত। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন। ওইদিন আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন।
শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় গত ১২ জুন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। সবশেষ গত ১১ আগস্ট ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৪ ধারা অনুযায়ী মামলার প্রসিকিউশন প্রত্যাহারের জন্য আদালতে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরে শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলম ড. ইউনূসকে দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস দেন।