1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
ভোলায় কোস্টগার্ডের সফল অভিযান ‘গণঅভ্যুত্থানে আহতদের আমৃত্যু চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে’ বরিশাল থেকে ধরে আনা কর্মকর্তাকে ঢাকার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ হাজী সেলিমের ছেলে সাবেক এমপি সোলাইমান গ্রেপ্তার আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন: ড. ইউনূস আইন করে কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি দেয়া অবৈধ ছিল : হাইকোর্টের রায় শেয়ারবাজারে কারসাজিতে সাকিবের আয় ৯০ লাখ, জরিমানা হয়েছে ৫০ লাখ বিদ্যুৎ নিয়ে আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে ভারত: মির্জা ফখরুল নাহিদ-আসিফরা জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই নেমেছিল: সারজিস

আদালতে কাঁদলেন দীপু মনি

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০২৪

সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনির চার এবং সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের মুদি দোকানদার আবু সায়েদকে হত্যা মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ড শুনানির আগে আদালতে হাজির করার সময় কাঁন্না করতে থাকেন দীপু মনি।এমনকি শুনানি চলাকালেও তিনি কান্না করতে থাকেন।এসময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা তার ফাঁসি চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ।এরপর মামলার সুষ্ঠুতদন্তের জন্য তাদের দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মোহাম্মদ পুর থানার পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন।অপর দিকে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল জামিনের আবেদন করেন।উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সরজমিনে দেখা যায়, এদিন বেলা ৩ টা ২৫ মিনিটের দিকে তাদের আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ।এরপর তাদের আদালতের গারদখানায় রাখা হয়।গারদখানা থেকে আদালতে সিএমএম আদালতের দুই তলায় ২৮ নং কোর্টে তোলা হয়।এসময় দীপু মনি কান্না করতেছিলেন।জয় ছিলেন চুপচাপ।বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা তাদের ফাঁসি চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।এরপর তাদের রিমান্ড শুনানি শুরু হয়।বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা তাদের দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।এদিকে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন।দীপু মনির কান্না তখনো থামেনি।এসময় জয় কিছু বলতে চান।আদালত কথা বলার অনুমতি দেয়নি।উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক দীপু মনির চার ও জয়ের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এরপর তাদের আদালত থেকে বের করে হাজতে নেওয়া হয়।

রিমান্ড আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা আরো উল্লেখ করেন,আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন,ভিকটিমকে হত্যার ঘটনা সংক্রান্তে আসামীদ্বয় জ্ঞাত আছে মর্মে তথ্য পাওয়া যাইতেছে।মামলার ভিকটিমকে হত্যায় হুকুম দানকারী, উস্কানিদানকারী ব্যাক্তি ও ব্যক্তিদের নাম সহ মামলার ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন এবং মামলার ঘটনার সহিত জড়িত অপরাপর আসামীদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করার জন্য তাদের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।মামলার সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে এবং মামলার মূল রহস্য উৎঘাটন, এজাহারে বর্ণিত সহিংস ঘটনার বিষয়ে এবং মামলার ভিকটিমকে হত্যাকারী, হত্যার হুকুম দানকারী, উস্কানিদানকারী ব্যক্তি ও ব্যক্তিদের নাম ও উক্ত ঘটনায় সরাসরি জড়িত আসামীদের নাম ও ঠিকানা সংগ্রহ এবং গ্রেফতারের নিমিত্তে ডাঃ দীপু মনি (৫১) এবং আরিফ খান জয়কে (৫৩) দশ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আদেশদানে আদালতের সদয় মর্জি হয়।

সোমবার (১৯ আগস্ট) রাতে ডা. দীপু মনিকে রাজধানীর বারিধারা থেকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে ধানমন্ডি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরিফ খান জয়কে গ্রেফতার করা হয়। তাদের আজ আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে।

বুধবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবী মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এস এম আমীর হামজা নামে এক ব্যক্তি মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনকে আসামি করা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে মোহাম্মদপুর থানাকে নির্দেশ দেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত কমিশনার মো. হারুন অর রশীদ ও যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার।

কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের ওপর পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালালে গত ১৯ জুলাই বিকেল ৪টার দিকে মোহাম্মদপুর থানার বছিলায় ৪০ ফিট চৌরাস্তায় মুদি দোকানদার আবু সায়েদ নিহত হন।

গণ আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এটিই প্রথম মামলা করা হয়।

মামলার বাদী আদাবর এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী এস এম আমীর হামজা শাতিল। তিনি সচেতন নাগরিক হিসেবে একজন নিরীহ নাগরিক হত্যার বিচার চেয়ে এ মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা মিছিল সমাবেশ করেন। ওই সব শান্তিপূর্ণ মিছিলে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। বহু ছাত্র-জনতা নিহত ও আহত হন। গত ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে বসিলার ৪০ ফিট এলাকায় ছাত্র-জনতা শান্তপূর্ণ মিছিল সমাবেশ করছিলেন। সেখানেও পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। রাস্তা পার হওয়ার সময় স্থানীয় মুদি দোকানদার আবু সায়েদ মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। তিনি ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, নিহত সায়েদকে তার গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদায় নতুন বস্তি প্রধান হাটে নিয়ে দাফন করা হয়। তার মা, স্ত্রী, ছেলে সন্তান সেখানেই থাকেন। এ কারণে তারা ঢাকায় এসে মামলা করতে অপারগ। এজন্য বিবেকের তাড়নায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি এ মামলা করেন।

মামলার অভিযোগে বাদী আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংস্কার আন্দোলন কঠোর হস্তে দমন করতে বারবার নির্দেশ দিয়েছেন। ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান কামালের নির্দেশে পুলিশের আইজিপি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অধীনস্থ পুলিশদের নির্দেশ দিয়ে মিছিলে গুলি চালায়। পরস্পর যোগসাজশে আসামিরা হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। কাজেই এর বিচার হওয়া প্রয়োজন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩