কয়েকদিন আগেও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের দাপটে তটস্থ থাকতো গুলশান-২ এর এই এলাকা। প্রতিমন্ত্রীর জন্য এই সড়কজুড়ে থাকতো কঠোর নিরাপত্তা। কিন্তু গণঅভ্যুত্থানের পর এখানে নেই কোনো তোড়জোড়। নিরাপত্তা তো দূরের কথা- পালিয়েছেন আরাফাত নিজেই।
গুলশানের এই আলিশান বাড়িতে আরাফাত উঠেছেন বছরখানেক আগে। তবে বাসার নিরাপত্তারক্ষীদের কঠোর নিষেধাজ্ঞায় ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। অক্ষত রয়েছে তার বাসা।
নিরাপত্তাকর্মীদের একজন জানান, আরাফাত বেশ কিছুদিন ধরে বাসায় আসে না। কোথায় আছে তাও জানেন না তারা।
স্থানীয়রা জানায়, তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পরই যেন সব কিছু বদলে যেতে থাকে আরাফাতের। স্থানীয়রা বলছেন- হঠাৎ উদয় হওয়া এই আরাফাত স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন এই ভবনের যে ফ্ল্যাটে তার বাজার মূল্য অন্তত ৫০ কোটি টাকা। তবে আওয়ামী লীগের পতন হওয়ার পর স্বাধীনভাবে কথা বলতে পেরে খুশি সাধারণ মানুষ। এমনটাই জানালেন আরাফাতের পাশের বাড়ির এক বাসিন্দা।
ছাত্র আন্দোলনে গণমাধ্যমের সামনে মিথ্যাচার করার কারণে ছাত্রজনতার ক্ষোভ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিংবা আইনমন্ত্রীদের বাসায় ভাঙচুর হলেও কোনো কিছুই হয়নি আরাফাতের। কেউ কেউ বলছেন- অভ্যুত্থানের দিন সকালেও সংসদ ভবন এলাকায় তার উপস্থিতি ছিল। তবে অভ্যুত্থানের পর দেশত্যাগ করতে না পারায় দেশেই আত্মগোপনে রয়েছেন বলে মনে করেন অনেকে। এজন্য অতিদ্রুত তাকে গ্রেফতার পূর্বক বিচারও চেয়েছেন ভুক্তভোগীরা। তাদের মধ্যে একজন হিরো আলম। তার মতে- নির্বাচনে অন্যায়ভাবে হারিয়ে দেওয়ার বিচার আল্লাহ করেছেন।
হিরো আলম মনে করেন- আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে ওঠা আরাফাতের মতো আওয়ামী লীগের নেতাদের গ্রেফতার করে তাদের সম্পদ জব্দ করলে রাষ্ট্র উপকৃত হবে।
এদিকে, আত্মগোপনে থাকলেও আরাফাত ও তার স্ত্রীর নামে কী পরিমাণ অর্থ রয়েছে তা জানতে চেয়ে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।