বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধের সঙ্গে জড়িতদের মাঝে অন্যতম ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ। সুবিধাবঞ্চিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
বুধবার (১৪ আগস্ট) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব বরাবর লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। পদত্যাগের কারণ হিসেবে নিজের অসুস্থতাকে উল্লেখ করেছেন মহিউদ্দিন আহমেদ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধের সঙ্গে জড়িতদের মাঝে তিনি ছিলেন অন্যতম। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ কর্তৃক সদ্য পরিচালিত তদন্তেও তার নাম উঠে আসে।
২০২৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিটিআরসি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ। এর আগে কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন তিনি।
এ ছাড়াও ছাত্রাবস্থায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। সম্প্রতি মহিউদ্দিন আহমেদ এবং কমিশনে তার ঘনিষ্ঠ দুই কর্মকর্তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করেন সুবিধাবঞ্চিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একাংশ।
এর আগে আন্দোলনের মুখে মহিউদ্দের সাবেক ব্যক্তিগত সচিব আমজাদ হোসেন নিপু এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অপারেশন্স (ইঅ্যান্ডও) বিভাগের উপপরিচালক মাহদী আহমেদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে কমিশন।
গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকেই অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন মহিউদ্দিন আহমেদ। অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি পদত্যাগ করেন।