অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ প্রত্যেকটা ইনস্টিটিউশন ধ্বংস করেছে। বিজিবির মতো একটা ফোর্সকে সীমান্তে পিঠ দেখাতে বলেছে। বর্ডারে আমাদের লোক মারে, বিজিবি ফ্ল্যাগ মিটিং করতে বাধ্য হয়। আমি বলে দিয়েছি, অনেক হয়েছে আর পিঠ দেখাবেন না। সীমান্তের মধ্যে ঢুকে মারে আর আমরা বলি ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে। সেদিন চলে গেছে।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে পিলখানার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরে বিজিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিজিবি সদস্যদের খোঁজখবর নেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পুলিশ-আনসার-র্যাব ও বিজিবি ফোর্সকে দানব বানিয়েছে। থ্যাঙ্কস গড- সেনাবাহিনীকে আমরা অনেকভাবে রক্ষা করেছি। এগুলো ন্যাশনাল ফোর্স, কারও ব্যক্তিগত ফোর্স না। আমি এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছি, এর পরে আপনাদের সঙ্গে এত কথা বলব না। আমি জাস্টিস প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করব, দেশে এবং দেশের বাইরে। আমার হাতে যদি পড়ে, স্ট্রেইট জেল। আমরা অলরেডি কিছু কিছু অ্যাকশনে গিয়েছি, যারা পুলিশকে দানব বানিয়েছে। আপনারা মনে কইরেন না যে, আমি শুধু আপনাদের সঙ্গে ‘পেপ টক’ (কথার কথা) করি; দিজ পার্টি ইজ ফ্যাসিস্ট পার্টি। যারা বর্ডার রক্ষা করার কথা, তাদের বলে পিঠ দেখাও। এটা আর হবে না কোনোভাবেই।
এ সময় তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অতিসত্তর দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দানবে পরিণত করেছিল। যারা এরজন্য দায়ী তাদের দ্রুত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের আওতায় আনা হবে।
পুলিশ বাহিনীতে দলীয়করণের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কাজ হচ্ছে- রাষ্ট্রপতির কাছে তালিকা পাঠানো, তা করা হয়েছে। পুলিশ খুবই অনুতপ্ত। তাই মানবিক পুলিশ তৈরিতে পুলিশ কমিশন তৈরির চিন্তা ভাবনা চলছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশরা ভবিষ্যতে যেন মানবিক পুলিশ হয়, সেজন্য আমরা পুলিশ কমিশন গঠনের চিন্তাভাবনা করছি। পুলিশ সদস্যরাও বলেছেন, পুলিশ কমিশনের অধীনে থাকতে চায় তারাও। রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার হতে চায় না।