সেনাবাহিনীকে প্রতিপক্ষ না ভাবার অনুরোধ জানিয়েছে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ। আজ রোববার দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি সভা হয়। সেখানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জি.এম সাহাব উদ্দিন আজম শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সেনাবাহিনী আমাদের প্রতিপক্ষ নয়। তাদেরকে কাজ করতে সহায়তা করতে হবে।’ তিনি হুশিয়ার উচ্চারণ করে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, এর পর কোনো নেতা বা কর্মী যদি বিশৃঙ্খলা করে, তাহলে জেলা আওয়ামী লীগ তার দায় নেবে না।
অন্য বছরগুলোতে যেভাবে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয় এবারও শোক দিবস সেভাবেই পালন করা হবে বলে জানান এ নেতা।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খানের সভাপতিত্বে জরুরি সভায় আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগ থেকে জেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোপালগঞ্জের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে জেলা, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনের সব স্তরের নেতা-কর্মীদের শান্তিপূর্ণ মিছিল-মিটিং করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মিছিল বা মিটিংয়ে কোনো দেশীয় অস্ত্র, লাঠি-সোটা প্রদর্শন করা যাবে না। কয়েক দিন ধরে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে শান্তিপূর্ণ মিছিল-সমাবেশ হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগ। কিন্তু শনিবার কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। এটি কোনোভাবে মুজিব আদর্শের সৈনিকদের থেকে কাম্য নয়। মনে রাখবেন রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের শত্রু নয়। তাদের প্রতি কোনো প্রকার শক্তি প্রদর্শন করা যাবে না। গতকাল সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া সব অঘটনের জন্য জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতে এ রকম কোনো অঘটন ঘটলে তার দায় জেলা আওয়ামী লীগ নেবে না। আমরা তাকে দুষ্কৃতকারী হিসাবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হাতে তুলে দেব।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ভালো আছেন। আমাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়েছে। তিনি শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করতে নির্দেশনা দিয়েছেন। কোনো রকম বিশৃঙ্খলা না করতে সবার প্রতি অনুরোধ করেছেন তিনি।