অন্তবর্তীকালীন সরকারের সদস্যদের জন্য বেইলি রোড, মিন্টু রোড, হেয়ার রোডের ২০টি বাংলো বাড়ি প্রস্তুত করা হচ্ছে।
সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম ভূঞা বৃহস্পতিবার বলেন, “নতুন সরকারের সদস্যদের জন্য আমরা আবাসন ঠিক করে ফেলেছি। আমরা জানি না কতজন। তালিকার অপেক্ষায় আছি।
“তবে আমাদেরকে বলা হয়েছে ২০টি আবাসন প্রস্তত করতে। সেভাবে আমরা সব কাজ করছি।”
বেইলি রোড, মিন্টু রোড় ও হেয়ার রোড়কে মন্ত্রীপাড়া বলা হয়। এখানে বেছে বেছে ২০টি বাংলো প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এইসব বাংলোর চেয়ার-টেবিল-ফার্নিচার নতুন করে সাজানো হচ্ছে। পিডব্লিউডির প্রধান প্রকৌশলী এই কাজের সমন্বয় করছেন। বাংলোর বাইরের আঙিনার আগাছা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজও চলছে পুরোদমে। এসব বাংলোয় মন্ত্রীরা ছিলেন এতদিন।
সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের পরিচালক বলেন, “প্রধান উপদেষ্টার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রটোকল শাখা থেকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গতকাল থেকেই সেখানে প্রস্তুতির কাজ শুরু হয়েছে।”
এর আগে ১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা লতিফুর রহমান তাদের দায়িত্বের দিনগুলো রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যুমনাতেই ছিলেন।
২০০৮ সালে এক-এগারোর পট পরিবর্তনের পর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমেদও এ ভবনেই থেকেছেন।
ছাত্র জনতার বিপুল গণ আন্দোলনে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের সরকারের পতনের পর চার দিন ধরে সরকার নেই দেশে। সংবিধানে এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা না থাকলেও নতুন নির্বাচনের প্রয়োজনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীও তাতে সমর্থন দিচ্ছে।
এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূসের নাম প্রস্তাব করেছিল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাতে সম্মতি দেন।
সেনাবাহিনী প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান রোববার বলেছেন, এ সরকারের উপদেষ্টা হতে পারে ১৫ জনের মত। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় বঙ্গভবনে তাদের শপথ হবে।