ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন সংস্কারপন্থি মাসুদ পেজেশকিয়ান। তিনি তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাঈদ জলিলিকে পরাজিত করেছেন।
নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে মাসুদ পেজেশকিয়ান পেয়েছেন ৫৩.৩ শতাংশ ভোট এবং সাঈদ জালিলি পেয়েছেন ৪৪.৩ শতাংশ ভোট।
গত ২৮ জুন ইরানে প্রথম দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কোনো প্রার্থী একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ফলে নির্বাচন রান অফে গড়ায়।
গত মে মাসে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হলে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়। ওই দুর্ঘটনায় রাইসির সঙ্গে আরও সাতজন নিহত হয়।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরই মাসুদ পেজেশকিয়ানের সমর্থকরা রাজধানী তেহেরানের রাস্তায় নেমে উল্লাস প্রকাশ করেন। এছাড়া দেশটির অন্যান্য বড় শহরেও তার বিজয় উল্লাস করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করা ভিডিওতে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ভিডিওতে বেশিরভাগ তরুণদের নাচতে এবং পেজেশকিয়ানের স্বাক্ষর করা সবুজ পতাকা ওড়াতে দেখা যায়। বিজয় উল্লাসের মিছিলের পাশ দিয়ে হর্ণ বাজিয়ে গাড়িও ছুটতে দেখা যায়।
মাসুদ পেজেশকিয়ান পেশার একজন হার্ট বিশেষজ্ঞ। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ে তিনি বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। নৈতিক পুলিশের কট্টর সমালোচক পেজেশকিয়ান ঐক্য ও সংহতির পাশাপাশি বিশ্ব থেকে ইরানকে কোণঠাসার অবসান ঘটানোরও প্রতিশ্রুতির কথা বলে বেশ আলোচনায় ছিলেন।
এবারের নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন ৬ জন। তবে প্রেসিডেন্ট পদে হাড্ডহাড্ডি লড়াই হয়েছে সাঈদ জালিলি ও মাসুদ পেজেশকিয়ানের মধ্যে। ইরানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জালিলি কট্টরপন্থি এবং মাসুদ সংস্কারপন্থি রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত। তবে উভয়েই দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ।