লায়লা আখতার ফরহাদের (৪৮) দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় গত ১ জুলাই জামিনে মুক্তি পেয়েছেন টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুন (২৫)। ঢাকা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মাজেদুর রহমান (সোহাগ) জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বাদী লায়লা জামিনের বিরোধীতা করেছিলেন। তবে আদালত ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন আদেশ দিয়েছেন।
এদিকে টিকটমার প্রিন্স মামুন জামিনে কারামুক্তির পর দুধ দিয়ে গোসল করেছেন। এমনই একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে― ছোট চুলে কারাগার থেকে বের হওয়ার পর মাকে সালাম করেন তিনি। এরপরই তাকে দুধ দিয়ে গোসল করতে দেখা যায়। আর মামুনের মাথায় তার মাকে দুধ ঢেলে দিতে দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, গত ১০ জুন রাতে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় ধর্ষণ মামলায় প্রিন্স মামুনকে গ্রেপ্তার করে কুমিল্লার পুলিশ। পরদিন ১১ জুন তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে রিমান্ড ও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত। পরে আজ জামিন শুনানি শেষে মামুনের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার অভিযোগে লায়লা উল্লেখ করেন, তিন বছর আগে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় লায়লার। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ের কথা চূড়ান্ত হয়। ওই সময় থেকেই প্রিন্স মামুন লায়লার বারিধারার ডিওএইচএসের বাসায় থাকা শুরু করেন।
এরপর প্রিন্স মামুন বিভিন্ন সময় নানা অজুহাতে লায়লার কাছ থেকে টাকা নিতেন। প্রায় সময়ই মাদক সেবন করে গভীর রাতে বাসায় প্রবেশ করতেন তিনি। বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় কথা বলার পাশাপাশি মাঝে মধ্যেই লায়লাকে মারধর করতেন প্রিন্স মামুন।
গত ১১ ডিসেম্বর উত্তরায় একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠান থেকে বাসায় ফেরেন তারা। তখন মামুনসহ আরও দু’জন মদপানের জন্য মিরপুর যাওয়ার পরামর্শ করেন। তাদের মদপানে লায়লা নিষেধ করলে উত্তেজিত হয়ে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে প্রিন্স মামুন। আর গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে একপর্যায়ে লায়লাকে মারধর ও হত্যাচেষ্টা করেন তিনি।