শেরপুরে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ছামেদুল হক কেনা (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ কৃষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৫ জনকে স্বনামে ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জনসহ মোট ৩৭ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ২৯ জুন শনিবার রাতে নিহতের ছেলে মো. পারভেজ মিয়া বাদী হয়ে পল্লী চিকিৎসক আলমগীর আলামিন হারুনকে (৪৫) প্রধান আসামি করে সদর থানায় ওই মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ওই মামলায় এজাহারনামীয় ৩ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে সদর উপজেলার যোগিনীমুরা নামাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহেদের ছেলে মো. মজিবুর রহমান (৫০), তার ছেলে মো. সাব্বির (২২) ও জাহিরুল ইসলামের ছেলে মো. রুমান মিয়া (২৮)।
রবিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক জানান, ওই ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় ইতোমধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের ৭ দিনের পুলিশ রিমাণ্ডের আবেদনসহ রবিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকী আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, ২৯ জুন শনিবার সকালে সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের যোগিনীমুরা নামাপাড়া এলাকায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ছামেদুল হক কেনা নামে এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যা করেন প্রতিবেশী পল্লী চিকিৎসক মো. হারুন ও সিদ্দিক খলিফাসহ প্রতিপক্ষের লোকজন। উভয় পক্ষের মধ্যে এক খন্ড জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিলো।