ময়মনসিংহে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাংবিধানিক মর্যাদা ও মাসিক সম্মানী ভাতা পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের ৩০% কোটাসহ ৯ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব দাবি জানান ময়মনসিংহের মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ কামাল পাশা।
এসময় আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ছাদেকুর রহমান, সাবেক কমান্ডার সেলিম সরকার রবার্ট ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউদ্দিন আহমেদসহ অর্ধশতাধিক বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বাংলাদেশ সংবিধানে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে কিছু উল্লেখ নাই। মহান মুক্তিযুদ্ধ শুধু একটি সংগ্রাম নয়; এটি ছিল সশস্ত্র গণযুদ্ধ। এই যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধারা সাংবিধানিক মর্যাদা প্রত্যাশী। তাই সংবিধানে বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করে সংশোধন করা প্রয়োজন। ৯ দফার মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী ভাতা পঞ্চাশ হাজার টাকা বৃদ্ধি করাসহ স্বাধীনতা দিবসসহ পাঁচটি বোনাস ভাতার সমপরিমাণ ‘রাজস্ব খাত’ থেকে নিয়মিতভাবে প্রদান, অচিরেই ‘বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ’র কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠান, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান ও নাতি-নাতনীদের ৩০% কোটা পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘পরিবার সুরক্ষা আইন’ সংসদে পাশ, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মন্ত্রণালয়ে হটলাইন ব্যবস্থা ও পারিবারিক রেশন ব্যবস্থা চালুকরণ, মুক্তিযোদ্ধাদের বিনা সুদে পঞ্চাশ লাখ টাকা ব্যাংক লোন ও সরকারী ব্যবস্থপনায় শারীরিকভাবে সক্ষম বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সস্ত্রীক পবিত্র হজব্রত পালন/তীর্থ ভ্রমণ, ১ লা ডিসেম্বরকে বীর মুক্তিযোদ্ধা দিবস এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘প্রাইড ফোর্স’ হিসাবে গেজেট প্রকাশ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বধ্যভূমি, কবরস্থান, শ্মশান ও শহীদ হওয়ার স্থান চিহ্নিত করে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় সংরক্ষণের দাবি জানানো হয়।
অবিলম্বে এসব দাবি বাস্তবায়ন না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন নেতৃৃবৃন্দ।