ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২২ জুন) দুপুরে নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে এ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শুরু হয়েছে।
এর আগে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে আতিথেয়তা গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীরা। যেখানে লালগালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয় শেখ হাসিনাকে।
বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথ সংবাদ বিবৃতি দেবেন। পরে হায়দরাবাদ হাউসে শেখ হাসিনা তার সম্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেবেন। বিকেলে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখারের কার্যালয়ে তার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তিনি পুনরায় ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে যাবেন। সেখানে তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ করবেন। নয়াদিল্লি সময় বিকেল ৬টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ বিমানে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (২১ জুন) বিকেল পৌনে ৫টায় সফরসঙ্গীদের নিয়ে পালাম বিমানবন্দরে পা রাখেন শেখ হাসিনা। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ভারতের পররাষ্ট্র ও পরিবেশবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং।
বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সফরকালীন আবাসস্থল হোটেল তাজ প্যালেসে যান। বিমানবন্দর থেকে তাজ প্যালেসে যাওয়ার রাস্তার দুপাশ বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় পতাকা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি ও প্ল্যাকার্ড দিয়ে সাজানো হয়। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে বাংলা, হিন্দি এবং ইংরেজিতে বিভিন্ন উদ্ধৃতির প্ল্যাকার্ড দেখা যায় রাস্তার দুপাশে।
এর আগে দুপুর ২টা ৮ মিনিটে নয়াদিল্লির উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছাড়েন তিনি।
টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার গঠনের পর নয়াদিল্লিতে এটিই কোনো সরকারপ্রধানের প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। এর আগে নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ৯ জুন বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেও যোগ দেন শেখ হাসিনা।