1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
‘গণঅভ্যুত্থানে আহতদের আমৃত্যু চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে’ বরিশাল থেকে ধরে আনা কর্মকর্তাকে ঢাকার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ হাজী সেলিমের ছেলে সাবেক এমপি সোলাইমান গ্রেপ্তার আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন: ড. ইউনূস আইন করে কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি দেয়া অবৈধ ছিল : হাইকোর্টের রায় শেয়ারবাজারে কারসাজিতে সাকিবের আয় ৯০ লাখ, জরিমানা হয়েছে ৫০ লাখ বিদ্যুৎ নিয়ে আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে ভারত: মির্জা ফখরুল নাহিদ-আসিফরা জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই নেমেছিল: সারজিস বাংলাদেশিদের ফুল-ফান্ডেড স্কলারশিপ দেবে আল-আজহার

যে অভিনেত্রীদের নির্বাচনে ব্যঙ্গ করা হলো, তারাই নির্বাচনে জয়ী

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ৫ জুন, ২০২৪

রচনা ব্যানার্জি

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের হুগলি আসনে জয় পেলেন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ খ্যাত টালিউড অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি। এই আসনে গতবার বিজয়ী হওয়া বিজেপির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে লকেটের আগে ২০১৪ সালের নির্বাচনে এই আসনটি তৃণমূলের দখলেই ছিল।

নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই নানা কারণে আলোচনায় ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী রচনা ব্যানার্জি। বিজেপির প্রার্থী লকেটের সঙ্গে তাঁর জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়টি আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত রচনার মুখেই হাসি ফুটেছে। ৫১ হাজার ৬৫৪ ভোটের ব্যবধানে লকেটকে হারানো রচনা পেয়েছেন ৫ লাখ ৭০ হাজার ৯৭৬ ভোট।

ভোট গণনার শুরু থেকেই লকেটের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন রচনা। বিকেলে জয় নিশ্চিত হতেই স্বস্তি ফিরে তাঁর প্রচারণা শিবিরে।

রচনা ও লকেট দুজনই একসময় রূপালি পর্দায় দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও তাঁদের বন্ধুত্ব অমলিন। রাজনীতি এই বন্ধুত্ব নষ্ট করবে না—এমন কথা প্রচারণার শুরু থেকেই বলে আসছিলেন তাঁরা।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই সম্প্রতি রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন রচনা। নির্বাচনী প্রচারণার শুরুর দিকে তাঁর অনেক কথাই ব্যঙ্গ করে মিম আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, ব্যঙ্গ হলেও এসব মিম আসলে রচনার পক্ষেই গেছে। ‘কিচেন পলিটিকস’ তথা নারী মহলের গ্রহণযোগ্যতাই রচনার জনপ্রিয়তার মাপকাঠি হয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা।

জুন মালিয়া

জয়ী হলেন মেদিনীপুরের তৃণমূলের কংগ্রেসের প্রার্থী জুন মালিয়া। এই কেন্দ্রে বিজেপির তরফে টিকিট পেয়েছিলেন অগ্নিমিত্রা। গণনার সকাল থেকে লড়াই শুরু হলেও শেষ অবধি জয় এল জুন মালিয়ার।

পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে অগ্নিমিত্রা পালকে প্রার্থী করেছিল বিজেপির। কিন্তু এ আসনে হেরে গেলেন তিনি। তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেত্রী জুন মালিয়ার কাছে হারলেন অগ্নিমিত্রা পাল।

ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার ভোটের গণনা শুরু হতেই দেখা যায় অগ্নিমিত্রা পাল কিছুটা এগিয়ে। অনেকে মনে করেছিল, হয়ত এ যাত্রায় মেদিনীপুর থেকে গেল বিজেপির। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জুন মালিয়ার কাছে হারতে হয় অগ্নিমিত্রাকে। বিজেপি হারতে হয় তৃণমূলের কাছে। ৩২ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হলেন তৃণমূলের জুন মালিয়া।

অন্যদিকে দিলীপ ঘোষকে বর্ধমান-দুর্গাপুরে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। সেখানে হেরে যান দিলীপ। কীর্তি আজাদের কাছে হারতে হয় তাকে। ফলে একদিকে সাংসদ পদ খুইয়ে দিলীপ এই মুহূর্তে একজন সাধারণ বিজেপি কর্মী।

সায়নী ঘোষ

পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে জয়ী হয়েছেন টালিউড অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। পরনে সাদা শাড়ি, গায়ে আঁচল, পায়ে চটি পড়ে এমন ঐতিহ্যবাহী বেশে ভোটের মাঝে নিজের প্রচারটা বেশ ভালোভাবেই চালিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এর মধ্যে শিবলিঙ্গের একটি ছবি পোস্ট করেই বিতর্কে জড়ান সায়নী। এবার ভোটে জিততে সেই শিবলিঙ্গের প্রতিই আস্থা রেখেছিলেন অভিনেত্রী।

ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, হাতে প্রশংসাপত্র ও একগাল হাসি নিয়ে স্থানীয় একটি কালী মন্দিরে হাজির হয়েছিলেন সায়নী। সেখানে ছিল শিবলিঙ্গও। মন্দিরে   পৌঁছাতেই মহাদেবের পায়ে রীতিমতো লুটিয়ে পড়লেন তিনি। দিতে থাকলেন ‘হর হর মহাদেব’ ধ্বনিও।

সামাজিক মাধ্যমের এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে শুরু হয় আলোচনা। অনেকেই বলছেন এই ভক্তি শুধু লোক দেখানো।

বিজয়ী সায়নী বলেন, ‘যাদবপুর লোকসভার মা, মাটি মানুষকে আমার প্রণাম এবং কৃতজ্ঞতা। এই জয় গণতন্ত্রের জয়, এই জয় আপামর বঙ্গবাসী তথা ভারতবর্ষের জয়। আগামীদিনে মাথা উঁচু করে তৃণমূলের পতাকা বহন করবো এবং মমতা বন্দোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এবং অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মাথা নীচু করে যাদবপুরের মা, মাটি মানুষকে পরিষেবা পৌঁছে দিতে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’

এর আগে সায়নীর জয়ে এক পোস্ট লিখে অভিনন্দন জানিয়েছেন অভিনেতা ও পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। তিনি বলেছেন, সায়নী যথেষ্ট বুদ্ধিমতী এবং দলের ও বড় সম্পদ; এতটা অল্প বয়সে রাজনীতির ময়দানে এমনটি সচরাচর দেখা যায় না। সেখানে সায়নী শুরু থেকেই নিজেকে বার বার প্রমাণ করেছে।

শতাব্দী রায়

তৃণমূলের হয়ে নির্বাচনে জিতেছেন অভিনেত্রী শতাব্দী রায়ও। চতুর্থবারের জন্য সংসদে যাচ্ছেন বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়।

অথচ শতাব্দী রায়ের জয় অনায়াস হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল দলেই। আরও নানা কারণে চর্চায় ছিল বীরভূম কেন্দ্র। তাঁর বিপক্ষে বিজেপির প্রার্থী বাছাই নিয়ে জটিলতা, বাম সমর্থিত সংখ্যালঘু কংগ্রেস প্রার্থী, অনুব্রত মণ্ডলের না থাকা। সেই সবকে হেলায় হারিয়ে শতাব্দী বীরভূম কেন্দ্রে শুধু জয়ী হলেন না। বরং চার বারের মধ্যে এ বারেই সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জিতলেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বীরভূম কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী পেয়েছেন ৭ লক্ষ ১৪ হাজার ৫৪৭ ভোট। নিকটতম বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্য পেয়েছেন ৫ লক্ষ ১৭ হাজার ৬৫৮টি ভোট।

উচ্ছ্বসিত শতাব্দী বলছেন, ‘‘জয়ের ব্যবধান বাড়বে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম। বিপুল জয়ের জন্য দলের কর্মী-সমর্থকদের নিষ্ঠা, পরিশ্রম এবং শাসকদলের প্রতি মানুষের আস্থাকে ধন্যবাদ।’’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩