মালদ্বীপ সরকার ইসরায়েলি নাগরিকদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। গাজার যুদ্ধে গণহত্যামূলক আগ্রাসন চালানোর কারণে তেল আবিবের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নিয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্র।
গতকাল রোববার এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জুর বরাত দিয়ে তার কার্যালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলি পাসপোর্টের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের অঙ্গীকার করেছেন।”
তবে কবে থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে, তা জানানো হয়নি।
একইসঙ্গে মুইজ্জু দুর্দশাগ্রস্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছেন। এই উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে একাত্মতায় মালদ্বীপবাসী’।
২০২৩ সালে মালদ্বীপে ১১ হাজার ইসরায়েলি পর্যটক এসেছিলেন, যা মোট পর্যটকের ০.৬%।
সরকারি তথ্য মতে, এ বছরের প্রথম চারমাসে গতবছরের তুলনায় ৮৮ শতাংশ কম ইসরায়েলি পর্যটক মালদ্বীপে এসেছেন।
গাজার যুদ্ধে ইসরায়েলি ভূমিকার প্রতিবাদ হিসেবে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য মুইজ্জুর ওপর বিরোধী দল ও মিত্রদলগুলো চাপ দিয়ে যাচ্ছিল।
এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দেশটির নাগরিকদের অবিলম্বে মালদ্বীপ ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
‘যেসব ইসরায়েলি নাগরিক মালদ্বীপে অবস্থান করছেন, তাদেরকে আমরা দ্রুত এই দেশ ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। কারণ, সেখানে আপনারা কোনো বিপদে পড়লে আমাদের পক্ষে সহায়তা করা কঠিন হবে’, জানান মুখপাত্র।
মালদ্বীপের পাশাপাশি আলজেরিয়া, বাংলাদেশ, ব্রুনেই, ইরান, ইরাক, কুয়েত, লেবানন, লিবিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সিরিয়া ও ইয়েমেনেও ইসরায়েলি পাসপোর্টধারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা চালু আছে।