পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের স্থাবর–অস্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁর সম্পদ কেনার ৮৩টি দলিল জব্দেরও আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে দুদক সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ চেয়ে আজ বৃহস্পতিবার আবেদন করে। আদালত দুদকের সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
দুদকের ওই আবেদনে বেনজীর আহমেদের গোপালগঞ্জের জমি এবং বেনজীর আহমেদ ও তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা ব্যাংক হিসাবগুলো জব্দের আদেশ চাওয়া হয়েছিল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে দুদকের সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন জানান, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন নিয়ে গত ৩১ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরবর্তী সময়ে আরও কিছু গণমাধ্যমে তাঁর (বেনজীর) বিষয়ে একই ধরনের অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই সব প্রতিবেদনে উঠে আসা অভিযোগগুলোর বিষয়ে দুদক আইন অনুযায়ী কার্যক্রম শুরু করেছে।
বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের বিপুল সম্পত্তি অর্জনের বিষয়ে সম্প্রতি দুই পর্বে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন (সাবেক আইজিপির অপকর্ম-১ ও ২) প্রকাশ করেছে কালের কণ্ঠ। গত ৩১ মার্চ প্রকাশিত প্রথম পর্বের প্রতিবেদনের মূল শিরোনাম ছিল ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বেনজীরের পরিবারের মালিকানায় রয়েছে প্রায় ১ হাজার ৪০০ বিঘা জমির ওপর নির্মিত ইকো রিসোর্ট। এই রিসোর্টের পাশে আরও ৮০০ বিঘা জমি কিনেছে তাঁর পরিবার। এ ছাড়া পাঁচ তারকা হোটেলের দুই লাখ শেয়ারও রয়েছে তাঁদের। ঢাকার বসুন্ধরায় সাড়ে তিন হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাটও রয়েছে বেনজীরের পরিবারের। এসব সম্পত্তি অবৈধ টাকায় কেনা হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।