বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি দক্ষিণপশ্চিম ও পশ্চিম-মধ্যাঞ্চলের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এটি আগামী ২৫ মে (শনিবার) সকালের মধ্যে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি)। পরের দিন ২৬ মে (রোববার) সন্ধ্যায় ‘রেমাল’ নাম নিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে। এ সময় ঘূর্ণিঝড়টির গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় এক’শ থেকে ১২০ কিলোমিটার।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ভারতের আবহাওয়া দপ্তর সর্বশেষ বুলেটিনে এসব তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, ‘বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণপূর্ব ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্যাঞ্চলের নিম্নচাপটি উত্তরপূর্ব দিকে সরে যাচ্ছে এবং বর্তমানে এর অবস্থান বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ ও পশ্চিম-মধ্যাঞ্চলে আগামী ২৫ মে শনিবার সকালের মধ্যে এটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।’
দেশটির আবহাওয়া দপ্তর থেকে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার কথা বলা হলেও— আবহাওয়া বিষয়ক বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট করে বলা হচ্ছে এটি ভারতের উড়িশা এবং বাংলাদেশের উপকূলে যেতে পারে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়া সংস্থা ইসিএআই এবং এনসিইপি ইঙ্গিত দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল উড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে।
অপরদিকে আইএমডি ও এনসিইউএম বলছে, ঘূর্ণিঝড়টি শক্তি সঞ্চার করে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানবে। আর ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানা শুরু করতে পারে ২৬ মে বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট থেকে ২৭ মে রাত ২টা ৩০ মিনিটের মধ্যে।
আরবি শব্দ ‘রেমাল’ এর বাংলা অর্থ বালু। নামটি দিয়েছে ওমান। বঙ্গোপসাগরে যেসব ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হবে সেগুলোর নাম আগে থেকেই ঠিক করা থাকে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।