আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা কোনো দেশের স্যাংশন বা ভিসানীতি কেয়ার করি না।’ কাদের বলেন, দুই দেশের বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে বাংলাদেশে এসেছেন ডোনাল্ড লু। আমরা কাউকে দাওয়াত করে আনিনি।
আজ মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশ সফর নিয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, ‘আমরা কাউকে দাওয়াত করে আনিনি। দুই দেশের বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলতে এসেছেন ডোনাল্ড লু। তাঁকে নিয়ে এতো মাতামাতি কেন? আমরা কোন দেশের স্যাংশন বা ভিসানীতি কেয়ার করি না।’
রাজধানীতে চলমান রংচটা ও পুরোনো যানবাহন বন্ধ করা হবে কী না—এমন প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগে গণপরিবহন আরও বাড়াতে হবে। এরআগে পুরোনো পরিবহন বাদ দেওয়া সম্ভব নয়।
কাদের বলেন, ‘ইলেক্ট্রিক বাসের কথা আমরা বিবেচনা করছি। ইলেক্ট্রিক যানবাহন উৎসাহিত করার আগ্রহ আছে সরকারের। ভারত বা চীন বুঝি না, যেখানে বেশি টেকসই গাড়ি পাওয়া যাবে সেখান থেকে গণপরিবহনের জন্য বাস আমদানি করা হবে।’
কাদের বলেন, ‘সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের গতিসীমা নির্ধারণ করে দেওয়া সঠিক। আমরা এই উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়ন করব এবং কঠোর হব।’
কাদের বলেন, ‘বিএনপির লোকেরাই ভারতীয় পণ্য বয়কট করবে না। ভারতীয় পণ্য বয়কটের প্রসঙ্গ একটা উদ্ভট ও ব্যর্থ চেষ্টা। সবকিছুতে ব্যর্থ হয়ে খড়কুটো নিয়ে বাঁচতে চাচ্ছে বিএনপি। আন্দোলন সফল করা বিএনপির দিবাস্বপ্ন। বিএনপির কর্মীরা এত হতাশ যে নেতাদের ওপর কোনো আস্থা নেই।’
বিএনপির লোকেদের বিচার করতে সরকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করছে বলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য জ্বলন্ত মিথ্যাচার বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।