প্রবল উত্তাপে পুড়ছে পুরো দেশ। এই পরিস্থিতিতে ঘরে ঘরে চলছে এসি, ফ্যান ও কুলারের ব্যবহার। এখনও বাংলাদেশের বেশিরভাগ বাড়িতে এসি নেই, তাদের বৈদ্যুতিক ফ্যানই একমাত্র ভরসা। যাদের বাড়িতে এসি বা কুলার রয়েছে, তারাও ফ্যান ব্যবহার করেন। ফলে সেই ফ্যানকে ঘুরতে হয় সারা দিনরাত। কিন্তু ঠিক কত ঘণ্টা সিলিং ফ্যান চালানো যায়।
একটানা কত ঘণ্টা পাখা চালানো যায়, এই প্রশ্নটা অনেকেরই মনে আসে। অনেকেই ভয় পান, অতিরিক্ত পাখা চললে, পাখায় আগুন লেগে যেতে পারে বলে। রাতভর পাখা চলার কারণে অনেকেই ভয় পান, তার পুড়ে আগুন লেগে যেতে পারে।
কারণ বেশিরভাগ সময়ই খানিকক্ষণ পাখা চললে তা বেশ গরম হয়ে যায়। এমনটা ঘটে কারণ, ফ্যানের ভেতরে থাকা মোটরটি বিদ্যুৎশক্তির সাহায্যে ফ্যানকে ক্রমাগত ঘোরাতে সাহায্য করে। ফলে তাপ উৎপন্ন হয়।
যাহোক, সারারাত পাখা চালানোর জন্য খুব বেশি চিন্তা করার দরকার নেই। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি সিলিং ফ্যান কোনো সমস্যা ছাড়াই গড়ে ৮ ঘণ্টা চালিয়ে রাখা যেতে পারে। তবে এর পরেও যদি ফ্যান চলতে থাকে তাহলে অতিরিক্ত গরম হওয়ার সমস্যা হতে পারে এবং যেকোনো বিপদও ঘটে যেতে পারে।
যদিও সিলিং ফ্যান এমনভাবে তৈরি করা হয়, যাতে তারা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত চলতে পারে। তবে যদি আশঙ্কা থাকে কোনোরকম দুর্ঘটনার, তাহলে ভালো ব্র্যান্ডের পাখা কেনাই উচিত। তাতে একটা নির্ভরতা তৈরি হতে পারে। তবে সিলিং ফ্যানের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে ব্যবহারকারীদের কিছু বিষয়ও মাথায় রাখা উচিত। ব্লেড-হ অন্য অংশ মাঝে মধ্যেই পরিষ্কার করা দরকার। পাখাটি এমনভাবে লাগাতে হবে যাতে এর সর্বত্র একটা ভারসাম্য বজায় থাকে। কখনো কোনো অদ্ভুত শব্দ হলে মিস্ত্রীকে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নেয়াই ভাল।
একইভাবে খেয়াল রাখতে হবে পাখার যেন অতিরিক্ত ব্যবহার না হয়। তাতে পাখা অনেকদিন পর্যন্ত টিকতে পারবে। আসলে একটি পাখা সারাদিন দিনের পর দিন চলতে থাকলে তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ফলে অপ্রয়োজনে ফ্যান না চালানোই ভালো। তাতে পাখাও ভালো থাকবে, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ও হবে।