সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে বিদেশে যেতে দেয়া হয়নি। অন্যদিকে তাকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে বাংলাদেশের হাসপাতালে, এমন সব তথ্য উঠে এসেছে বাংলাদেশকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে মানবাধিকার প্রতিবেদনটি স্থানীয় সময় সোমবার (২২ এপ্রিল) সংযুক্ত করা হয়।
এতে বলা হয়, ২০০৮ সালের দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় তাকে ২০১৮ সালে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ২০১৯ সালে তাকে জেলখানা থেকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ২০২০ সালে সেখান থেকে তাকে স্থানান্তর করে গৃহবন্দি করা হয়।
রাজনৈতিক বন্দি ও আটক ব্যক্তিদের বিষয়ে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক ও দেশের ভেতরকার আইন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তার তথ্যপ্রমাণে ঘাটতি আছে। এ থেকে বোঝা যায় যে, তাকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য রাজনৈতিক ছক সাজানো হয়েছে। পক্ষান্তরে প্রসিকিউটররা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বেশ কিছু দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৯ আগস্ট থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়া। তিনি লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন। তার হার্টে তিনটি ব্লকের মধ্যে একটিতে রিং পরানো হয়।