ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ১১ বছর বয়সী এক শিশুর সুন্নতে খতনা করতে গিয়ে গোপনাঙ্গ (লিঙ্গ) কেটে ফেলেছেন এক হাজাম (খতনাকারী)। পরিবারের অভিযোগ, কথিত ওই হাজাম শিশুর লিঙ্গ কেটে ফেলেছেন।
ঘটনার পর আহত শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
রবিবার (১৪ এপ্রিল) বেলা বারোটার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের উজানচর-নওপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অসুস্থ শিশু ওই গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে জাহিদ হাসান নির্জন।
সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, আহত নির্জনের বাড়িতে কেউ নেই, সবাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে রয়েছেন। এসময় কথা হয় আহত নির্জনের চাচাতো বোন মোসাঃ নাদিরা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়ের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই। আমরা কথিত খতনাকারী বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
খতনা করার সময় প্রত্যক্ষদর্শী নির্জনের চাচাতো বোন জামাই মো. শাফায়েত হোসেন বলোন, ‘ খতনা করার সময় আমি নির্জনকে ধরে বসেছিলাম। প্রথমবার নির্জনের পুরুষাঙ্গের আগার চামড়া কাটার পর খতনা হয়নি বলে দ্বিতীয়বার তার লিঙ্গ কাটতে গিয়ে গোপনাঙ্গের অর্ধেকের বেশি অংশ কেটে ফেলে দেন হাজাম। পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলার পরও হাজাম (খতনাকারী) আকবর আলীর কোন অনুশোচনা হয়নি। বরং তিনি উল্টো বলেন, আমি এটা ঠিক করতে পারবো।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের নতুন চর-আলগী গ্রামের কথিত খতনাকারী আকবর আলী শিশুটির সুন্নতে খৎনা করাতে গিয়ে লিঙ্গের নির্ধারিত অংশের থেকে বেশি কেটে ফেলেন তিনি। এরপর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হলে শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় চিকিৎসকরা। সেখানে তার লিঙ্গ প্রতিস্থাপনের পর নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পরিবারের লোকজন নির্জনের জন্য দোয়া চেয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চেয়ে অভিযুক্ত আকবর আলীর মোবাইলে কল দিলে তার ছেলে হাতেম আলী কল রিসিভ করে বলেন,’ এবিষয়ে আমরা এখন কিছু বলতে চাইনা, রোগী বাড়িতে আসলে কথা বলবো।’
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, এবিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।