বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ অপহরণে যুক্ত ৮ জলদস্যুকে আটক করেছে সোমালিয়ার পুলিশ। রোববার জাহাজটিকে মুক্তি দিয়ে উপকূলে যাওয়ার পর উত্তর পুর্বাঞ্চলের রাজ্য পান্টল্যান্ডের পুলিশ তাদের আটক করে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম গারোই।
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে কয়লাবোঝাই এমভি আবদুল্লাহ ছিনতাই করে সোমালি জলদস্যুরা। এ সময় জাহাজটিতে থাকা ২৩ বাংলাদেশি নাবিককেও জিম্মি করা হয়। নাবিকদের উদ্ধারে নানা চেষ্টা করা হয়। চলে কূটনৈতিক তৎপরতাও। কিন্তু অগ্রগতি আসতে সময় লাগছিল।
জাহাজটির জিম্মি নাবিকদের ঈদও কাটে বন্দী দশায়। তবে তাঁদের ঈদের দিন ভালো খাবার দেওয়া হয় বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল।
৫০ লাখ ডলারে মুক্ত এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকেরা: রয়টার্স৫০ লাখ ডলারে মুক্ত এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকেরা: রয়টার্স
শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে ২৩ নাবিকসহ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্তি পায় বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। রোববার দুপুরে মুক্তির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরে জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় চট্টগ্রামের এস আর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিমের কাছে একটি বার্তা আসে এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন আব্দুর রশীদের কাছ থেকে। বার্তায় বলা হয়, জিম্মি জাহাজ মুক্ত হয়েছে। নাবিকরা দুবাইয়ের পথে রওনা হয়েছে।
মুক্তির খবরে নাবিকদের পরিবারে ফিরল ঈদের আনন্দ মুক্তির খবরে নাবিকদের পরিবারে ফিরল ঈদের আনন্দ
গারোইয়ের এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপহৃত বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে ছেড়ে দেওয়ার পরপরই ৮ জলদস্যুকে আটক করা হয়। তবে তাদের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা উদ্ধার হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।
পান্টল্যান্ডের একজন জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়, আটক ৮ জনই এমভি আব্দুল্লাহ অপহরণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘মুক্তিপণ দিয়ে জিম্মি মুক্ত করা হলে জলদস্যুদের অন্য গ্রুপগুলো উৎসাহিত হতে পারে।’