বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) আন্দোলনের নামে কোনো নিষিদ্ধ সংগঠনের তৎপরতা আছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ডিএমপির ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের প্রবেশের প্রতিবাদে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলনে মধ্যে গতকাল শনিবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির পাঁচজন ছাত্র সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আবেগকে ব্যবহার করে ‘নিষিদ্ধ সংগঠন’ স্বার্থ হাসিল করছে। হিযবুত তাহ্রীর ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের মতো সংগঠনগুলো এখানে কাজ করছে।
এ বিষয়ে গোয়েন্দাদের কাছে কোনো তথ্য আছে কি না জানতে চাইলে ডিবি প্রধান বলেন, ‘আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। সেখানে আমাদের টিম রয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করছি। তদন্ত করে পরবর্তী সময়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আন্দোলন-সংশ্লিষ্টতায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানান ডিবি প্রধান।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, ২০১৯ সালে আবরার ফাহাদ হত্যার পর বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ। এরপরও গত বুধবার মধ্যরাতের পর ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন, রাজনৈতিক কার্যক্রম চালান। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা গত শুক্রবার বেলা আড়াইটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত বিক্ষোভ করেন। গতকাল তাঁরা পরীক্ষা বর্জন করে সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন।