শেরপুরে মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগ পেলেন ৩৪জন চাকুরী প্রত্যাশী। শেরপুরে নিয়োগযোগ্য শূণ্য পদের বিপরীতে কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে শেরপুর জেলা পুলিশের টিআরসি নিয়োগ বোর্ড। শনিবার (২৩ মার্চ) রাত ৯টায় শেরপুর পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস শেডে চূড়ান্তভাবে মনোনীত নারী ও পুরুষের নাম ঘোষণা করেন শেরপুরের পুলিশ সুপার ও টিআরসি নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি মোনালিসা বেগম পিপিএম।
নিয়োগ বোর্ডের তথ্যমতে, কৃতকার্য প্রার্থীদের লিখিত, মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকা অনুযায়ী উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এই চাকরি পেতে পুরো নিয়োগ কার্যক্রমের সকল ইভেন্টের জন্য আবেদনের জন্য প্রতি প্রার্থীর খরচ হয়েছে মাত্র ১২০ টাকা।
এদিকে ৩৪ শূন্য পদের বিপরীতে প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং শেষে ১৫৩২ জন প্রার্থী শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পান। পরবর্তীতে শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরিক্ষা শেষে ৩৭৮ জন লিখিত পরীক্ষা অংশগ্রহণ করে এবং লিখিত পরীক্ষায় ১৩৮ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। পরে চূড়ান্তভাবে নারী ও পুরুষ ৩৪ জনকে মনোনীত করে শেরপুর জেলা টিআরসি নিয়োগ বোর্ড।
চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শেরপুরের পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম বলেন, সততা, নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের মাধ্যমে দেশসেবার মনোভাব নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশে কাজ করতে হবে।
এসময় মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে স্বচ্ছতার মাধ্যমে মাত্র ১২০ টাকায় আবেদন করে বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে প্রাথমিকভাবে নিয়োগ পেয়ে উত্তীর্ণ প্রার্থী এবং তাদের অভিভাবক আবেগাপ্লুত হয়ে তাৎক্ষণিক অনুভূতি ব্যক্ত করেন। সেইসাথে পুলিশ সুপারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে টিআরসি নিয়োগ বোর্ডের সদস্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দেওয়ানগঞ্জ সার্কেল) সুমন কান্তি চৌধুরী এবং সহকারী পুলিশ সুপার (ফুলপুর সার্কেল) মো. আতাহারুল ইসলাম তালুকদারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা, প্রার্থী এবং তাদের অভিভাবকবৃন্দসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।