প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের চেষ্টা করে যাচ্ছি। মানুষের কষ্টের কথা চিন্তা করে, ইফতার পার্টি বাদ দিয়ে দরিদ্রদের মাঝে তা বিতরণের আহ্বান জানিয়েছি। মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৪’ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এবার সরকার গঠনের মধ্যদিয়ে দেশ হারানো গৌরব ফিরে পেয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা থাকলে যে উন্নয়ন হয়, তা প্রমাণ করেছি। ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে, জয় বাংলা স্লোগান জাতীয় স্লোগান। এখনকার প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে চায়।
তিনি বলেন, ২৫ মার্চের গণহত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের প্রতি জাতির ঘৃণা। এমন ঘটনা আর যেন কখনো না হয়। দেশে কিছু মানুষ অগ্নিসন্ত্রাস করে, তাদের সুমতি হোক।
সরকারপ্রধান বলেন, আনাচে-কানাচে থাকা দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ মানুষকে খুঁজে বের করে পুরস্কার দিতে পারাটাই আমাদের সার্থকতা। এ সময় যারা পুরস্কার পেলেন, তারা দেশের জন্য আরও কাজ করবেন বলে প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী। একই সময় ফিলিস্তিনে যে হত্যাযজ্ঞ চলছে তার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
এর আগে জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৪’ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানে কাজী আব্দুস সাত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ আবু নঈম মো. নজিব উদ্দীন খাঁন (খুররম) (মরণোত্তর), বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. মোবারক আহমদ খান, চিকিৎসাবিদ্যায় ডা. হরিশংকর দাশ, সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, ক্রীড়ায় ফিরোজা খাতুন, সমাজ বা জনসেবায় অরন্য চিরান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়েদুল্লাহ বাকী ও এসএম আব্রাহাম লিংকন।