ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই মারা গেছেন। বার্ধক্যের কারণে অসুস্থ হয়ে আজ শনিবার সকাল ৬টায় থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। আবদুল হাইয়ের মৃত্যুর তথ্য প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম।
১৯ বছর ধরে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসা আবদুল হাই সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী। তিনি দুই ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫২ সালের ১ মে শৈলকুপা উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামে আবদুল হাইয়ের জন্ম। তাঁর বাবার নাম ফয়জুদ্দীন আহম্মদ। ছাত্রজীবনে রাজনীতিতে জড়ানো আবদুল হাই ১৯৬৮ সালে ঝিনাইদহের সরকারি কেশব চন্দ্র (কেসি) কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি ঝিনাইদহে স্বাধীন বাংলার প্রথম পতাকা উত্তোলন করেন। পরে ঝিনাইদহ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও মহকুমা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন তিনি।
পেশায় ব্যবসায়ী আবদুল হাই ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর পরবর্তী সব কটি নির্বাচনেই সংসদ সদস্য হয়েছেন তিনি। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান ২০০৫ সালে। মৃত্যুর আগপর্যন্ত সে পদে আসীন ছিলেন আবদুল হাই।