জামালপুর থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে ইট-পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে ট্রেন চালক মো. আতিকুল ইসলাম (৪২) গুরুতর আহত হলে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ময়মনসিংহ হাসপাতালে রেফার্ড করে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আহত ট্রেনচালক আতিকুল ইসলাম ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বিরামপুর গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে। বুধবার (১৩ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে গৌরীপুর থেকে ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশনের মাঝামাঝি বোকাইনগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনটি ঈশ্বরগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ২ঘন্টা মিনিট আটকা থাকার পর রাত ১:৩০ মিনিটে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
পুলিশ রাতেই অভিযানে চালিয়ে ৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। রাতেই সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে, দুর্বৃত্তের ছোড়া পাথরের আঘাতে ট্রেনের ঢ কোচের ১-২ সিটের জানালার কাচঁ ভেঙ্গে যায়, কিন্তু এতে কোন যাত্রী আহত হয়নি।
জানা গেছে , বুধবার রাতে চলন্ত বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে গৌরীপুর-ঈশ্বরগঞ্জ সীমান্তবর্তী এলাকায় দুর্বৃত্তরা পাথর নিক্ষেপ করে। দুর্বৃত্তের ছোড়া পাথরে গুরুতর আহত হয় ট্রেনচালক। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি রাত ১১টা ২০ মিনিটে ট্রেনটি ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশনে থামিয়ে দেন। পরে ট্রেনে থাকা লোকজন ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে ট্রেনটি ঈশ্বরগঞ্জ রেলস্টেশনের প্লাটফর্মে আটকা পড়ায় দুর্ভোগে পরে যাত্রীরা। জনবল সংকটে ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশনের কার্যক্রম সম্প্রতি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্টেশনটিতে দায়িত্বশীল কোনো লোকজন ছিলেন না। ২ঘন্টা পরে ময়মনসিংহ থেকে চালক মোহাম্মদ হানিফ এসে ট্রেনটি নিয়ে চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।
বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে কর্তব্যরত রেল পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হানিফ মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জামালপুর থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনটি বোকাইনগর এলাকার একটি সেতুর কাছে আসতেই দুর্বৃত্তরা পাথর নিক্ষেপ করে। পাথরের আঘাতে ট্রেনের চালক আতিকুল ইসলামের নাক ফেটে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় ট্রেনটি ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশনের প্লাটফর্মের কাছাকাছি নিয়ে থামিয়ে দেন তিনি।
বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের সহকারী লোকোমাস্টার আব্দুল হালিম জানান, গৌরীপুর-ঈশ্বরগঞ্জ সীমান্তবর্তী এলাকায় দুর্বৃত্তরা পাথর নিক্ষেপ করলে গুরুতর আহত হয় ট্রেনচালক। পরে ট্রেনটি ঈশ্বরগঞ্জ স্টেশনে থামিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়ে চালককে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, ‘ খবর পেয়ে তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থলে হাজির হয় পুলিশ। রাতভর অভিযান চালিয়ে আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।