ময়মনসিংহের গৌরীপুরে তিন দিনব্যাপী কৃষি মেলায় শস্য দানা দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাত মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ও জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
নান্দনিক এই শিল্পকর্মটি তৈরি করেছে গৌরীপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের সহযোগিতায় ১০ মার্চ রোববার থেকে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে কৃষি অফিস চত্বরে তিন দিনব্যাপী কৃষি মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
কৃষি মেলার উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহ-৩ গৌরীপুর আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নিলুফার আনজুম পপি।
১০ মার্চ রোববার থেকে শুরু হওয়া এই কৃষি মেলা চলবে আগামী ১২ মার্চ মঙ্গলবার পর্যন্ত।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, কৃষি মেলায় বিভিন্ন কৃষি পণ্যের প্রদর্শনী নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১৪টি স্টল অংশ গ্রহণ করেছে। তবে মেলায় দর্শনার্থীদের নজড় কেড়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের স্টলের ‘শস্যদানায় বঙ্গবন্ধুর সাত মার্চের ভাষণ ও জাতীয় স্মৃতিসৌধ’ নামের শিল্পকর্মটি। নান্দানিক এই শিল্পকর্মটি দেখতে মেলায় ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা ভিড় করছে স্টলের সামনে। অনেকেই শিল্পকর্মটির সামনে দাঁড়িয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন সেলফি কিংবা ছবি তোলায়।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা কৃষি অফিসার নিলুফার ইয়াসমিন জলির নির্দেশনায় শিল্পকর্মটি তৈরি করেছেন তিন উপহসকারি কমর্কতা সুমন চন্দ্র সরকার, গোলাম রাব্বানী ও আল মামুন।
মাটিতে বালু ফেলে তার ওপর কাঠের গুড়োর সাথে রঙ মিশিয়ে ৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮ ফুট প্রস্থের এই শিল্পকর্মটির জমিন তৈরি করা হয়েছে। পরে একপাশে কালোজিরা মশলা ও কালোজিরা চাল দিয়ে জমিনের ওপর বঙ্গবন্ধুর সাত মার্চের ভাষণের প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। অপরপাশে ছোলা, মটর, মশুর খেসারি, অ্যাঙ্কর ও মাসকালাই ডাল দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এছাড়াও স্মৃতি সৌধের পাশে কাঁচা মরিচ ও লাল মরিচ দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে জাতীয় পতাকা।
উপসহকারি কৃষি কর্মকতা সুমন চন্দ্র সরকার বলেন, মেলায় অনেক স্টল থাকলেও দর্শনার্থীরা নান্দনিক এই শিল্পকর্মটি দেখতে আমাদের স্টলের সামনে ভিড় করছে। সবাই আমাদের কাজের প্রশংসা করায় নিজেদের মধ্যে অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার নিলুফার ইয়াসমিন জলি বলেন, মহান স্বাধীনতার মাসে কৃষি মেলায় বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফুটিয়ে তুলতেই আমরা শস্য দানা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সাত মার্চের ভাষণ ও জাতীয় স্মৃতিসৌধ ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।
এছাড়াও তিন দিনব্যাপী কৃষি মেলায় আমরা বিভিন্ন কৃষি পণ্যের প্রদর্শনীর পাশাপাশি এগুলোর চাষপদ্ধতি সম্পর্কে জনসাধারণ ও দর্শনার্থীদের পরামর্শ দিচ্ছি।