1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ভোলায় কোস্টগার্ডের সফল অভিযান ‘গণঅভ্যুত্থানে আহতদের আমৃত্যু চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে’ বরিশাল থেকে ধরে আনা কর্মকর্তাকে ঢাকার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ হাজী সেলিমের ছেলে সাবেক এমপি সোলাইমান গ্রেপ্তার আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন: ড. ইউনূস আইন করে কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি দেয়া অবৈধ ছিল : হাইকোর্টের রায় শেয়ারবাজারে কারসাজিতে সাকিবের আয় ৯০ লাখ, জরিমানা হয়েছে ৫০ লাখ বিদ্যুৎ নিয়ে আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে ভারত: মির্জা ফখরুল নাহিদ-আসিফরা জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই নেমেছিল: সারজিস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জুয়া খেলার জেরে দু’দিন ধরে সংঘর্ষ, আহত ৫০

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৫ মার্চ, ২০২৪

জুয়া খেলায় বিরোধের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরতলীর নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিরাশার গ্রামে গত দু’দিন ধরে সংঘর্ষ চলছে। এতে মঙ্গলবার পর্যন্ত আহত হয়েছে অর্ধশত লোক।

সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি বিদেশি পিস্তল ব্যবহার করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েকটি ঘরবাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও আগুন দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি তাজ মো. ইয়াছিনসহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এরমধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫ রাউন্ড গুলি, একটি বিদেশি পিস্তলসহ একজনকে আটক করে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল সোমবার বিরাশার গ্রামের ইরি স্কিমের (ইরি ধান চাষের সেচ প্রকল্প) কাছে জুয়া খেলার সময় দু’দল জুয়ারির মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। এর জের ধরে ওইদিন রাতে মোকিত মিয়ার ছেলে আনোয়ারকে (২৫) মারধর করে গ্রামের মজু মিয়ার ছেলে আল আমিন। এরপর থেকে গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী বাবুল মিয়া, সাদ্দাম মেম্বার ও কাশেম মাস্টারের পক্ষের লোকজনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা তাজ মো. ইয়াছিন ও পৌর কাউন্সিলর মিজান আনসারীর পক্ষের লোকজন দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়ায়। আজ সকালে বাবুলের পক্ষের এক ছেলেকে মারধর করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এরপর আবারো দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে অর্ধশত লোক আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে প্রকাশ্যে পিস্তল নিয়ে প্রতিপক্ষকে ধাওয়া করা হয়। এসময় ঘরবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। আগুন দেওয়া হয় বাড়িঘরে।

নাটাই উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সায়ীদ বলেন, ‘জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের শুরু। সোমবার থেকে বিষয়টি নিস্পত্তির জন্যে দু’পক্ষের লোকজনের পেছনে দৌড়াচ্ছি, কিন্তু লাভ হচ্ছে না।’

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার পেছনে এলাকার নেতৃস্থানীয় লোকজনের মদদ রয়েছে। তাঁরা প্রকাশ্যে না এলেও তাঁদের হুকুমে একপক্ষ–আরেকপক্ষের লোকজনের ওপর হামলা করছে। বাড়িঘর ভাংচুর করছে। মূলত দু’পক্ষের নেতৃস্থানীয় লোকজনের উসকানিতে এই ঘটনা ঘটছে।

এ ঘটনার প্রায় ৬ মাস আগে বিরাশার গ্রামের সুলতান ও হোসেন মিয়ার মধ্যে শহরের আনন্দবাজারের মাংস পট্টিতে একটি দোকানের বিক্রি ও দখল নিয়ে বড় ধরনের ঝামেলা হয়। এছাড়াও আরও নানা কারণে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামের এই দু’পক্ষের বিরোধ চলে আসছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, ‘সোমবার ঘটনার পর থেকে বারবার দু’পক্ষের নেতৃস্থানীয় লোকজনকে আমরা নির্বৃত্ত থাকতে বলেছি। এ–ও বলেছি ঘটনা যেটুকু হয়েছে মামলা নিয়ে এর বিচারের ব্যবস্থা করব। একেকজনকে ১০ বার করে ফোনকল করেছি। বলেছি যার যার পক্ষের লোকজনকে নির্বৃত্ত করতে। কিন্তু এ লক্ষ্যে তাঁদের কোনো ভূমিকা নেই। বরং যার যার পক্ষকে উসকানি দিয়েছে।’

ওসি আরও বলেন, ‘দাঙ্গাবাজরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করার চেষ্টা চালিয়েছে। ককটেল, পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মেরেছে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্রসহ একজনকে আমরা হাতেনাতে ধরতে সক্ষম হই। আটক মো. জসিম (৩৫) বিরাশার গ্রামের বড় গোষ্ঠির নুরুল ইসলামের ছেলে। এর বাইরেও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি তাজ মো. ইয়াছিনসহ ৫ জনকে আমরা আটক করেছি। বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩