সাধারণ হজ প্যাকেজ ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা কমানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। তিনি আরো জানান, ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় রিয়ালের মূল্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, তাই সরকারের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও হজের ব্যয় কাঙিক্ষত পর্যায়ে কমানো সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান। সরকারি দলের সংসদ সদস্য মশিউর রহমান মোল্লা সজলের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘সৌদি আরবে মক্কা ও মদিনায় অনেক এলাকায় বাড়ি ও হোটেল ভেঙে ফেলায় বাড়ি ভাড়া ব্যয় এ বছর অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
বৈশ্বিক নানা কারণে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় রিয়ালের মূল্য অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া মিনা-আরাফায় তাবু ভাড়াসহ মেয়াল্লেম ফি বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই সরকারের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও হজের ব্যয় আর কমানো সম্ভব হয়নি।’
একই প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের হজযাত্রীর কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন।
বিগত বছর সমূহের ন্যায় ২০২৪ সালেও যাতে পূর্ণ কোটায় হজযাত্রী হজে যেতে পারে সেজন্য ২০২৩ সালের হজের চেয়ে ৯২ হাজার ৪৫০ টাকা কময়ে ২০২৪ সালে হজে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা সাধারণ হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। যাতে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ হজে যেতে পারে।
তিনি আরো বলেন, ‘অধিক সুযোগ-সুবিধা আশা করেন এই রকম হজযাত্রীদের ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের জন্য বিশেষ প্যাকেজের ব্যবস্থা রয়েছে। সরকারি মাধ্যমের বিশেষ প্যাকেজের মূল্য ৯ লাখ ৩৬ হাজার টাকা।’
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মো. মোস্তফা আলমের প্রশ্নের জবাবে ফরিদুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশ হইতে হজের নিবন্ধন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাক-নিবন্ধিত সকল হজযাত্রীদের একাধিকবার তাহাদের মোবাইলে এসএমএস এর মাধ্যমে নিবন্ধনের আহ্বান করা হয়েছে। জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি, প্রেস রিলিজ ও সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেলে স্কুল প্রচারের মাধ্যমে হজ যাত্রীদের নিবন্ধনের জন্য আহ্বান করা হয়েছে। সকল মোবাইল ফোন ব্যবহার কারীদের হজের নিবন্ধনের বিষয়টি বিটিআরসি-র মাধ্যমে এসএমএস দেওয়া হয়েছে।’