ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার আঠারবাড়ি-কেন্দুয়া সড়কের রায়ের বাজার এলাকার বড় একটি রেইন-ট্রি গাছ থেকে মোটা ডালপালা কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শ্রমিকরা সওজের কিশোরগঞ্জ কার্যালয়ের একজন উপসহকারী প্রকৌশলীর নির্দেশে ডালপালা কাটার কথা জানালেও তিনি এখন তা অস্বীকার করছেন। খবর পেয়ে কর্তিত ডালপালাগুলো বনবিভাগ জব্দ করেছে।
আজ সোমবার বেলা ১২ টার দিকে সরেজমিনে ঈশ্বরগঞ্জের রায়ের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের সড়কের পাশে অবস্থিত ইজিবাইক স্ট্যান্ড। সেই স্ট্যান্ডের পাশেই ডালপালা বিহীন গাছটি দাঁড়িয়ে রয়েছে। গাছের পাশে অবস্থিত পান দোকানী মো. সুজন মিয়া জানান, গত শুক্র ও শনিবার একদল শ্রমিক এসে গাছের মোটামোটা ডাল করাত দিয়ে কেটে নিয়ে গেছে। ডালপালার কারণে এলাাকটি ছায়াযুক্ত ছিল।
রায়ের বাজারের ব্যবসায়ীদের একটি সূত্র জানায় কর্তিত ডালপালাগুলো স্বপন মিয়ার করাতকলে রাখা হয়েছে। সেখানে গিয়ে ডালপালাগুলো পাওয়া যায়। করাতকলে অবস্থান করছিলেন শ্রমিক সর্দার ওয়াহেদ মিয়া। তিনি বলেন, কিশোরগঞ্জ সড়ক বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মাইন উদ্দিন তাকে ডালপালা কাটার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি চারজন শ্রমিক দিয়ে ডাল কেটেছেন। কর্তিত ডালপালার কিছু অশ বিক্রি করে দুই হাজার ৮০০ টাকা শ্রমিকের মুজুরি পরিশোধ করেছেন।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মাইন উদ্দিন এ ধরনের নির্দেশ দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। তথ্য সংগ্রহের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সওজের কার্যসহকারী ফরিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ডালপালা কেটে ফেলার খবর পেয়ে তিনি সেখনে গিয়েছিলেন। কিন্তু শ্রমিকরা তাঁকে সওজের নির্দেশের কথা বলেছেন।
খবর পেয়ে সেখানে যান বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. লুৎফুর রহমান। তিনি বলেন, আঠারবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো. জুবের আলম তাঁকে এ খবর দেন। তিনি এসে গাছের ডালপালা কেটে ফেলার সত্যতা পেয়েছেন। করাত কলে যে ডালপালগুলো রাখা হয়েছে সেগুলো জব্দ করা হয়েছে। পরে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইউপি চেয়ারম্যান জুবের আলম বলেন, কোনো কারণ ছাড়া সড়কের পাশে থাকা জীবন্ত গাছের ডালপালা কেটে নেওয়া যুক্তিসঙ্গত হতে পারে না। আঠারবাড়ি ইউনিয়নের শতবর্ষী নানাজাতের প্রচুর গাছ রয়েছে। এসব গাছে পাখির আবাসস্থল রয়েছে। ডালপালা কেটে পাখির আবাসস্থল নষ্ট করা হচ্ছে। তিনি বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন।