দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলির ভালপারাইসো অঞ্চলে দাবানলে অন্তত ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক জরুরি অবস্থা জারি করেছেন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ‘প্রয়োজনীয় সব সম্পদ’ কাজে লাগানোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তার দেশ ‘খুব বড় মাত্রার শোচনীয় ঘটনার মুখোমুখি’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এটিই চিলির সবচেয়ে প্রাণঘাতী দাবানল বলে ধারণা করা হচ্ছে। যারা এর শিকার হয়েছেন তাদের অনেকেই গ্রীষ্মের ছুটিতে উপকূলীয় ওই এলাকায় ভ্রমণে গিয়েছিলেন; জানিয়েছে বিবিসি।
রয়টার্স জানিয়েছে, বেশ কয়েকদিন আগে শুরু হওয়া দাবানল উপকূলীয় শহর ভালপারাইসো ও ভিনা দেল মারের প্রান্তীয় এলাকাগুলোকে হুমকির মুখে ফেলেছে। এই দুটি শহরই জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য। রাজধানী সান্তিয়াগো থেকে শতাধিক কিলোমিটার পশ্চিমের এ শহর দু’টিতে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বসবাস করে।
চিলির গৃহায়ণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দাবানলে ৩০০০ থেকে ৬০০০ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভালপারাইসোতে স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে। পরে করলেও চলবে এমন সব অস্ত্রোপচার স্থগিত করা হয়েছে। দুর্যোগস্থলে অস্থায়ী ফিল্ড হাসপাতাল স্থাপন করা হচ্ছে।
শনিবার থেকে ভালপারাইসো অঞ্চলের ভিনা দেল মার, লিমাচে, কিলপোয়ে, ভিয়া আলেমানায় সান্ধ্য আইন জারি করা হয়েছে। এর ফলে জরুরি বিভাগের গাড়িগুলো দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় দ্রুত পৌঁছতে পারবে বলে বোরিক জানিয়েছেন।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রোববার থেকে সেখানে ১৪০০ দমকল কর্মী মোতায়েন শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর সদস্যদেরও মোতায়েন করা হচ্ছে। হেলিকপ্টার থেকে পানি ফেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যারোলিনা তোহা বলেছেন, মৃত্যুর সংখ্যা আরও অনেক বাড়তে পারে।
যেসব এলাকা দাবালনের হুমকির মুখে রয়েছে জনগণকে সেদিকে ভ্রমণে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে চিলির সরকার।