1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : স্টাফ রিপোর্টার : স্টাফ রিপোর্টার
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
‘গণঅভ্যুত্থানে আহতদের আমৃত্যু চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে’ বরিশাল থেকে ধরে আনা কর্মকর্তাকে ঢাকার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ হাজী সেলিমের ছেলে সাবেক এমপি সোলাইমান গ্রেপ্তার আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন: ড. ইউনূস আইন করে কুইক রেন্টালে দায়মুক্তি দেয়া অবৈধ ছিল : হাইকোর্টের রায় শেয়ারবাজারে কারসাজিতে সাকিবের আয় ৯০ লাখ, জরিমানা হয়েছে ৫০ লাখ বিদ্যুৎ নিয়ে আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে ভারত: মির্জা ফখরুল নাহিদ-আসিফরা জীবন দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়েই নেমেছিল: সারজিস বাংলাদেশিদের ফুল-ফান্ডেড স্কলারশিপ দেবে আল-আজহার

চুক্তিতে খুন করতেন হবি

উবায়দুল হক, ময়মনসিংহ
  • আপডেট : সোমবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৪

ময়মনসিংহে আগ্নেয়াস্ত্র-গুলিসহ হাবিবুর রহমান হবি নামে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃত হবি চুক্তিতে খুন করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানান পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা। পরে বিকেলে আদালতে তোলা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় হবি।

জেলার গফরগাঁও উপজেলার দত্তেরবাজার ইউনিয়নের বিরুই গ্রামের মৃত সোলাইমান শেখের ছেলে হাবিবুর রহমান হবি (৪৮)। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ তিনটি মামলা রয়েছে। ২০০৩ সালের একটি হত্যা মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হবি পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। কিশোরগঞ্জ, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থেকে বসবাস করতেন হবি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তার। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে ময়মনসিংহ ডিবির একটি দল গফরগাঁও উপজেলার খুরশিদ মহল সেতু এলাকায় চেকপোস্ট বসায়। সেই চেকপোস্টে আটক করা হয় হবিকে। ওই সময় তার কাছ থেকে একটি রিভলবার, একটি একনলা বন্দুক, রিভলবারের চার রাউন্ড গুলি ও বন্দুকের ৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে।

পুলিশ জানায়, স্থানীয় রাজনৈতিক বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ১০ জানুয়ারি দত্তের বাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিনের ছেলে লিটন মিয়াকে গুলি করা হয়। চিকিৎসা শেষে সে এখন সুস্থ্য রয়েছে। এ ঘটনাটির সঙ্গে হবি নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে পুলিশের কাছে। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ফরিদ ও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত জাহাঙ্গীর মেমার, আলাল সান ও সোহেল মিলে ২ লাখ টাকায় লিটনকে খুনের চুক্তি করে হবির সঙ্গে। চুক্তির ৫০ হাজার টাকা ফরিদ তুলেও দেয় হবির কাছে। চুক্তি অনুযায়ী একনলা বন্দুক দিয়ে লিটনকে রাতের আঁধারে গুলি করে হবি। এ ঘটনায় অজ্ঞাত আসামীদের বিরদ্ধে মামলা হয়। হবিকে গ্রেপ্তারের পর লিনটকে খুনের চুক্তি ও গুলি চালানোর কথা স্বীকার করে পুলিশের কাছে। পরে হবির তথ্য অনুযায়ী বিএনপি নেতা ফরিদকে সোমবার গ্রেপ্তার করা হয়।

ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভ‚ঞা বলেন, হবি মূলত একজন প্রফেশনাল কন্ট্রাক্ট কিলার। সে ভাড়াটে খুনি হিসেবে কাজ করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যায়, রাজনৈতিক বিরোধে হবিকে চুক্তি করা হয় লিটনকে খুন করার জন্য। এছাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারও লক্ষ্য ছিলো। এ ঘটনার মাধ্যমে নির্বাচন পরবর্তী আইনশৃংখলা পরিস্থিতিও অবনতি ঘটনারো চেষ্টা করছিল। একটি হত্যায় হবি ১০ বছরের সাজা নিয়ে আত্মগোপনে ছিল। তাকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩