১০ বছর আগে গাংনী উপজেলার সহড়াতলা গ্রামের মামুনুর রশিদের সাথে বিয়ে হয় রামদেবপুর গ্রামের সিমা খাতুনের। নানা কারণে সংসার জীবন ভালো না যাওয়ায় ঘটে বিবাহ বিচ্ছেদ। পরে বিষয়টি গড়ায় মামলা পর্যন্ত। মেহেরপুর জেলা জজ পারিবারিক আদালতে খোরপশ দাবী করে এ মামলা দায়ের করা হয়।
একপর্যায়ে, দুই পরিবারের সমঝোতায় মামলাটি মিমাংসা করা হয়। সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে খোরপোশ বাবাদ টাকা দেওয়ার দিন ছিলো। টাকা দিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য আদালত থেকে বের হওয়ার সময় সিমা খাতুনকে আদালত ভবন থেকে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করেছেন মামুনুর রশিদ। ছেড়ে দেননি স্ত্রীও স্বামীর জামা টেনে ধরে ফলে তিন তলা থেকে নিচে পড়ে যায় দুজনেই।
ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুর জেলা জজ আদালত ভবনে। আহতদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত সিমা খাতুন জানান, মামলার মিমাংসার পর খোরপশের টাকা দেয়ার পর বাড়ি ফেরার জন্য আদালত থেকে বের হওয়ার সময় আমার স্বামী মামুনুর রশিদ আমাকে জড়িয়ে ধরে আদালতের বারান্দায় নিয়ে গিয়ে ধাক্কা দেয়। এসময় আমি বারান্দার লোহার রেলিং এর উপর দিয়ে নিচে পড়ে যাওয়ার সময় তার জামা ধরলে সেও আমার সাথে তিন তলা থেকে নিচে পড়ে যায়।
অভিযোগ অস্বীকার করে স্বামী মামুনুর রশিদ বলেন, খোরপশের টাকা দিয়ে আদালত থেকে বের হলে তার স্ত্রী তাকে ধাক্কা দেয়। দুজনে নিচে পড়ে তার শরীর বিভিন্ন স্থান ক্ষত হয়েছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ভারপ্রাপ্ত ডা. মন্জুরুল হাসান জানান, হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া আহত স্বামী স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কামুক্ত। তবে স্ত্রীর হাত ও স্বামীর কোমরের হাড় ভেঙ্গে গেছে। তাদের চিকিৎসা চলছে বলেও জানান তিনি।