বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের যে বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি হওয়ার ইচ্ছা আছে এটি তিনি কখনোই লুকাননি। সম্প্রতি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের এমপি হওয়া সাকিব আবারও সভাপতি হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশের পাশাপাশি দাবি করলেন যে তাকে সভাপতি করা হলে তিনি দেশের ইতিহাসের সেরা সভাপতি হবেন।
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর সাকিবের সভাপতি হওয়ার আগ্রহ বাস্তবে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়েছে তবে সাকিবের বিসিবি সভাপতি হতে এখনও বাধা রয়েছে। তবে এর আগেই টি-টেন লিগের ফ্র্যাঞ্চাইজি বাংলা টাইগার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব নিজেই দাবি করলেন যে তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা বোর্ড সভাপতি হবেন। একইসঙ্গে বোর্ডে নাজমুল হাসান পাপন এবং সাবেক সভাপতি আ হ ম মোস্তাফা কামালের অবদানের কথাও স্মরণ করলেন তিনি।
সম্প্রতি বাংলাদেশের মন্ত্রিসভার ক্রীড়ামন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হওয়া নাজমুল হাসান পাপন বিসিবি ছাড়ার ইঙ্গিত দেওয়ার পরই পরবর্তী বোর্ড সভাপতি কে হবেন সেই আলোচনা ক্রীড়াঙ্গনে শুরু হয়েছে। নাম আসছে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও সাকিব আল হাসানের। যদিও তাদের এখনই বোর্ডে আসার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তারপরও দুই তারকা ক্রিকেটার ও বর্তমান সংসদ সদস্যকে নিয়ে গুঞ্জন ক্রীড়াঙ্গনে থাকছেই।
দেশের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য একইসঙ্গে ক্রিকেটার ও রাজনৈতিক পরিচয়ের জন্য তাকে ঘিরে চলছে নানান আলোচনা। যে আলোচনায় আগুন দিয়েছেন সাকিব নিজেও। আবুধাবিভিত্তিক ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-১০ লিগের দল বাংলা টাইগার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বোর্ড সভাপতি হলে কেমন করবেন দিয়েছেন তার উত্তর।
সাকিব বলেন, ‘যদি সুযোগ আসে আমি কখনো মিস করব না। আমি বিশ্বাস করি, যখন আমি যাব বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা সভাপতি হব। এটা আমার বিশ্বাস। পারি, না পারি এটা পরের কথা। আমার যদি সেরা হওয়ার চিন্তাই না থাকে তাহলে আমি সেরা কাজটা কীভাবে করব। কাউকে ছোট করে না। যদি আসি, ইনশাআল্লাহ অনেক কাজ করতে পারব। এটা আমি অনুভব করি। এখন আসলে সময়ই বলে দেবে। এখন মনে হচ্ছে অনেক কিছুই করতে পারব। তখন দেখা যাচ্ছে আসলেই করতে পারলাম না। এ রকমও হতে পারে। কিন্তু ওই বিশ্বাসটা আমার আছে।’
বোর্ড সভাপতি হিসেবে কী করবেন তা বলা ছাড়াও কথা বলেছেন আগের দুই সভাপতিকে নিয়েও। নাজমুল হাসান পাপন ও আ হ ম মোস্তাফা কামালকে কোন জায়গায় রাখবেন? দিয়েছেন সেই প্রশ্নের উত্তরও।
সাকিব বলেন, ‘পাপন ভাই আছেন, তার আগে আমাদের কামাল ভাই ছিলেন। তারা অসাধারণ কাজ করেছেন। তা না হলে ক্রিকেটের কিন্তু এত উন্নতিও হতো না। আজকে আমরা অনেক সমালোচনা করতে পারি। কিন্তু তাদের অবদান ছিল বলে আমরা এতদূর আসতে পেরেছি। আপনি বলতে পারেন, আরও বেশি করতে পারত। সম্ভবত পারত, সম্ভবত পারত না। কেবল তাদের অবস্থানে গেলেই আপনি বুঝতে পারবেন, আসলে সম্ভব ছিল কি ছিল না।’
যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী হওয়ায় ২০২৪ সাল শেষে বিসিবির সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর চিন্তা পাপনের। যদিও তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০২৫ সালে। অবশ্য তিনি বিদায় নিলেই যে সাকিব সভাপতি হতে পারবেন বিষয়টা এমনও নয়।
বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, নতুন যে আসবেন তাকে হতে হবে বিসিবির বর্তমান কমিটির পরিচালক। যেখানে অনেক দূরে অবস্থান করছেন সাকিব। তাছাড়া তিনি এখনো জাতীয় দলের হয়ে তিন ফরম্যাটে খেলে যাচ্ছেন।