এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৪ ও চট্টগ্রাম-৩ আসনের দুই কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছে। আর কোনও ভোট পড়েনি ২৭টি কেন্দ্রে। শূন্য ভোটের কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রাঙ্গামাটির ৮টি কেন্দ্র ও খাগড়াছড়ির ১৯টি।
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলে এ তথ্য মিলেছে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ৪০ হাজারের বেশি কেন্দ্রের ফলাফল প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে গড়ে শতকরা ৪২ ভাগ ভোট পড়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, পার্বত্য এলাকায় দুর্গমতার পাশাপাশি স্থানীয় দলগুলোর অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ঝুঁকি এমন অনুপস্থিতির বড় কারণ হতে পারে। ভোটের আগে পার্বত্য এলাকার কিছু জায়গায় গোলযোগ-সহিংসতাও হয়।
আর শতভাগ ভোট পড়ার হার রয়েছে যে দুটি কেন্দ্রে সেখানে সবগুলো বৈধ ভোট ছিল না, কিছু ভোট বাতিল হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ না করা বা অভিযুক্ত ভোট বাতিল করেন সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং কর্মকর্তা।
১০০ ভাগ ভোট যে দুই কেন্দ্রে
চট্টগ্রাম-৩ আসনের মমতাজুল উলুম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৩৯৮০ ভোট রয়েছে। এরমধ্যে বৈধ ভোট পড়েছে ১ হাজার ৬২৩টি আর বাতিল হয়েছে ২ হাজার ৩৫৭টি।
এ আসনে আওয়ামী লীগের মাহফুজুর রহমান ৫৪ হাজার ৭৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র মো. জামালউদ্দিন চৌধুরী পান ২৮ হাজার৭০ ভোট। ৩৬.২১% ভোট পড়ে চট্টগ্রাম-৩ আসনে।
গাইবান্ধা-৪ আসনের শিবপুর ফজরিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়ে। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ২৪৫০। বৈধ ভোট পড়েছে ১ হাজার ৭৮৮টি আর বাতিল হয়েছে ৬৬২টি।
এ আসনে নৌকার মো. আবুল কালাম আজাদ ২ লাখ ১ হাজার ১৭১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গলের কাজী মো. মশিউর রহমান পান ৪ হাজার ৩০৮ ভোট। গাইবান্ধা-৪ আসনে মোট ৫৪.১৩% ভোট পড়ে।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে ৪০ সহস্রাধিক কেন্দ্রের দুই শতাধিক কেন্দ্রে ১০০% ভোট পড়ার নজির রয়েছে।
ভোট পড়েনি ২৭ কেন্দ্রে
খাগড়াছড়ি আসনে ১৯৬টি কেন্দ্রে ভোটার রয়েছে ৫ লাখ ১৫ হাজার ৪১৯ জন। ৭ জানুয়ারি এ আসনে ভোট পড়েছে ৪৯.৯৯%, অর্থাৎ ২ লাখ ৫৭ হাজার ৬৫৪ জন ভোট দিয়েছেন। তবে ১৮টি কেন্দ্রে কেউ ভোট দিতেই আসেননি।
খাগড়াছড়িতে নৌকার কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা নির্বাচিত হয়ে প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন এবার।
রাঙ্গামাটি আসনে ২১৩ কেন্দ্রে ভোটার রয়েছে ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৪৫৪ জন। এ আসনে ৫৯.৬০% ভোট পড়েছে। এ আসনে ৮টি কেন্দ্রে কেউ ভোট দেননি। এই আসনে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার দীপঙ্কর তালুকদার।
১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রার্থীদের ব্যয়ের হিসাব দিতে হবে
আগামী ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে লড়াইয়ে থাকা এক হাজার ৯৬৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বীকে নির্বাচনি ব্যয়ের হিসাব দিতে হবে। আর ভোটে অংশ নেওয়া ২৮ দলকে ব্যয়ের হিসাব দিতে হবে ১০ এপ্রিলের মধ্যে।
৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২২২, জাতীয় পার্টি ১১, জাসদ ১, ওয়ার্কার্স পার্টি ১, কল্যাণ পার্টি ১ ও স্বতন্ত্র ৬২টি আসন জিতেছে।