রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় করা পৃথক ৯টি মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। কাল বুধবার তাঁর জামিন বিষয়ে শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সকালে কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মির্জা ফখরুলকে হাজির করা হয়।
মির্জা ফখরুলের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন সকালে বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় করা ৯টি মামলায় তাঁর জামিন চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করা হয়। আদালত ৯ জানুয়ারি (আজ) শুনানির দিন ঠিক করেন। পরে বুধবার দিন ঠিক হয়।
২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় করা পৃথক ৯টি মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইনানুযায়ী তা নিষ্পত্তি করতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে (সিএমএম) সম্প্রতি এই নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে মোট ১০টি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে ১৪ ডিসেম্বর রিট করেন মির্জা ফখরুল। রিটে ১০টির মধ্যে পল্টন থানার ৭টি এবং রমনা থানার ৩টি মামলার কথা উল্লেখ রয়েছে। মামলাগুলো ঢাকার সিএমএম আদালতে বিচারাধীন।
গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন রমনা মডেল থানায় মামলাটি করা হয়। এই মামলায় ওই দিনই মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। এরপর জামিন চেয়ে ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি। আবেদনের শুনানি নিয়ে ৭ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। ওই মামলায় মির্জা ফখরুলকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয় রুলে। রাষ্ট্রপক্ষকে এক সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।