সারা দেশে দুপুর ১২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত গড়ে সাড়ে ১৮ শতাংশ ভোট পড়েছে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, বিভিন্ন সূত্রে ভোটের এই হিসাব জানতে পেরেছেন তাঁরা।
ঢাকা বিভাগের আসনগুলোয় দুপুর ১২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত ১৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ শতাংশ, সিলেটে ১৮ , বরিশালে ২২, খুলনায় ২১, রাজশাহীতে ১৭ ও ময়মনসিংহে ২০ শতাংশ ভোট পড়ে।
রংপুরে দুপুর ১২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত কত ভোট পড়েছে, সে হিসাব বলেননি ইসি সচিব। তবে সূত্র জানায়, রংপুরে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৬ শতাংশ ভোট পড়েছে।
আজ সকাল ৮টায় সারা দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকাল থেকে বিভিন্ন জেলা থেকে প্রথম আলোর প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর বলছে, সকালে ভোটার উপস্থিতি কোথাও কোথাও কম ছিল। কোথাও কোথাও ছিল তুলনামূলক বেশি।
দেশে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৮৭ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পড়েছিল।
২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপি বর্জন করে। ওই নির্বাচনে ১৫৩টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন প্রার্থীরা। বাকি আসনগুলোয় ৪০ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পড়েছিল বলে হিসাব দিয়েছিল ইসি।
২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব বড় দল অংশ নেয়। তবে নির্বাচনটি নিয়ে ব্যাপক প্রশ্ন ওঠে। ইসির হিসাবে, ওই নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৮০ শতাংশের কিছু বেশি।
আজ সকালে রাজধানীর হাবীব উল্লাহ বাহার কলেজ কেন্দ্রে নিজের ভোট দিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ভোট গ্রহণ মাত্র শুরু হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি আশা করি আরও বাড়বে। প্রতিটা সেন্টারে আমি খোঁজ নিয়েছি। ভোট হয়েছে অল্প অল্প। কোথাও ২৫টি, কোথাও ৪০টি।’
হরতাল ও সহিংসতার কারণে ভোটে প্রভাব পড়বে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এটা তিনি বলতে পারছেন না। নির্বাচন কমিশন শুধু ভোটটা ম্যানেজ করছে। ভোটাররা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবেন, সে ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না।