নির্বাচন কমিশন চাইলে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে পারে এটি ভুল ধারণা। এটি পেছানোর এখতিয়ার কমিশনের নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সোমবার (০১ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি।
নির্ধারিত সময়ে ভোট করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করা নির্বাচন কমিশনের একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে জানান তিনি।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সিইসি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন চাইলে সেটি পিছিয়ে দিতে পারে এটি ভুল ধারণা, নির্বাচন পেছানোর এখতিয়ার কমিশনের নেই। মোটামুটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলেই সেটিকে সুষ্ঠু নির্বাচন বলা যায়। নির্বাচনে দু-একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতেই পারে। তাই বলে এটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার কিছু নেই। আমাদের মূল লক্ষ্য এ নির্বাচন সুষ্ঠু এবং সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা।
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট হিসেবে আপনাদের দায়িত্ব অনেক। এ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে, সঠিকভাবে কাজ করলে মানুষ নির্ভয়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবেন।
‘দেশব্যাপী প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের কিছু ঘটনা ঘটছে। কিছু সহিংসতা হচ্ছে। আমরা এসব দেখতে চাই না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দেয়া আছে। তারা সেভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে বা নিচ্ছে। আপনারাও আপনাদের ওপর যে দায়িত্ব আছে, সেটি যথাযথভাবে পালন করবেন।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক কমিউনিটিকে দেখাতে হবে, আমাদের নির্বাচন অবাধ-নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হয়েছে। বিদেশিদের এই নির্বাচন নিয়ে কথা বলার অধিকারও আছে।’
ভোটারদের ভোটদানে বাধা দিলে সংকট তৈরি হবে – এ কথা জানিয়ে সিইসি সব ধরনের বাধা দূর করে সুষ্ঠু ভোট আয়োজনের নির্দেশ দেন।